৫ কোটি টাকা চাঁদা দাবি ও হত্যার হুমকির ঘটনায় হকার্স লীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

মামলা
প্রতীকী ছবি

পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে ঢাকার কেরানীগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও হকার্স লীগ নেতা আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন সোহেল। তিনি সোমবার কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ১ নম্বর আসামি আনোয়ার হোসেন আওয়ামী হকার্স লীগের কেন্দ্রীয় নেতা ও কালিন্দী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। সোনার বাংলা গ্রিন সিটি আবাসন প্রকল্পের চেয়ারম্যানও তিনি। মামলায় তাঁর তিন ভাই আওয়ামী লীগ নেতা মো. সুমন, মো. সুজন, মো. রাসেল, সাবেক যুবলীগ নেতা ফারুকসহ নয়জনকে আসামি করা হয়েছে। অজ্ঞাতনামা আসামি ছয় থেকে সাতজন।

ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন সোহেল বলেন, পাঁচ দশক আগে তাঁর প্রয়াত বাবা চার বোন, দুই ভাই ও মায়ের নামে কেরানীগঞ্জ মডেল থানাধীন ব্রাহ্মণকিত্তা মৌজায় ৬৬৯ শতাংশ জমি কেনেন। পরে ওই জমির নিরাপত্তায় চারদিকে পাকা সীমানাদেয়াল নির্মাণ করা হয়। কিন্তু আনোয়ার হোসেন ও তাঁর ভাইয়েরা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সেই জমি দখলের চেষ্টা করেন। গত ৩ মে আনোয়ারের নেতৃত্বে তাঁর ভাই সুমন, সুজন ও রাসেল, তাঁদের সহযোগী পিন্টু, মাসুম, ফারুক, কমল চন্দ্র পাল, আশিকসহ সাত থেকে আটজন সেই জমি থেকে মাটি কেটে নিয়ে যায়।

ওই দিনের ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সালাউদ্দিন বলেন, ‘ঘটনাস্থলে গেলে তাঁরা আমাদের হুমকি–ধমকি দিয়ে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা না ওই জমি সোনার বাংলা গ্রিন সিটির নাম দিয়ে প্লট করে বিক্রি করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। আমরা তাদের চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাঁরা আমাদের জমি ভোগদখল করতে দেবেন না বলেও হুমকি দেন। আমরা যদি ওই জমির আশপাশে যাই, তাহলে আমাদের প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেন আনোয়ার ও তাঁর ভাইয়েরা।’

দেরিতে মামলা করা প্রসঙ্গে সালাউদ্দিন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে আনোয়ারের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী বাহিনী রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাদের দমিয়ে রেখেছিলেন।’ এত দিন জীবনের ভয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার সাহস পাননি। আওয়ামী সরকারের পতনের পর ২৬ আগস্ট সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ (সোমবার) তাদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন।

মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) খালেদুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ী সালাউদ্দিন সোহেলের কাছে পাঁচ কোটি টাকা চাঁদা দাবি ও প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে সোনার বাংলা গ্রিন সিটির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুতই গ্রেপ্তারি অভিযান পরিচালনা করা হবে।