ঝিনাইদহে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাসহ আহত ৪
ঝিনাইদহ শহরে পূর্বশত্রুতা থেকে হওয়া মারামারির সময় ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি, যুবলীগ কর্মীসহ চারজন আহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে শহরের ৩ নম্বর পানির ট্যাংকপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহত চারজনের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসক জানিয়েছেন।
মারামারিতে আহত ব্যক্তিরা হলেন ঝিনাইদহ পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও শহরের আদর্শপাড়ার বাসিন্দা হাফিজুর রহমান ওরফে পলাশ (৪০), শহরের পানির ট্যাংকপাড়া এলাকার যুবলীগ কর্মী মো. বাদল (৩৫), কাঞ্চনপুর এলাকার বাসিন্দা ও যুবলীগ কর্মী কালু হোসেন (৩২) এবং একই এলাকার যুবলীগ কর্মী আলিফ (২২)। তাঁদের সবাইকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় হাফিজুর রহমান ও আরেকজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল সন্ধ্যার পর শহরের ৩ নম্বর পানির ট্যাংকপাড়া এলাকায় আরও দুজনকে নিয়ে বসে ছিলেন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি হাফিজুর রহমান। এ সময় সেখানে আসেন যুবলীগ কর্মী বাদলসহ কয়েকজন। রাজনৈতিক পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁদের কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উভয়ই ধারালো অস্ত্র নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়েন।
ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মেহেদী ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আসা আহত ব্যক্তিদের শরীরে ধারালো অস্ত্রের আঘাত আছে। তাঁদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বলে জানান ঝিনাইদহ সদর থানার উপপরিদর্শক শরিফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে। তাঁদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।