বগুড়ায় ইজিবাইকচালককে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার ৬
বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় ইজিবাইক ছিনতাই করে চালককে হত্যার ঘটনায় হওয়া মামলায় ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ছিনতাই হওয়া ইজিবাইকটিও উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার সকাল পর্যন্ত বগুড়া, নাটোর ও রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার কুসম্বি ইউনিয়নের তাঁতড়া পশ্চিমপাড়ার এমদাদুল হক ওরফে মিলন (৩৩), নাটোরের সিংড়া উপজেলার ছাদারদিঘি গ্রামের আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক (৩৫), নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার ধানুড়া মধ্যপাড়ার আবদুল জলিল ওরফে সবুজ (৩২), একই উপজেলার পশ্চিম ধানুরা গ্রামের আবদুস সোবহান (৪৬), একই উপজেলার ধানুরা ঘোষপাড়ার ঝন্টু ওরফে বেল্লাল (২৮) ও রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার উত্তর রায়পুর গ্রামের নাজিরুল ইসলাম (৪৪)।
নিহত ইজিবাইকচালক মুকুল হোসেন (৩৮) বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার খাদাশ উলালপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্ত্রী–সন্তান নিয়ে শ্বশুরবাড়ি শেরপুর উপজেলার হাটদিঘী পুকুরপাড়ে বসবাস করতেন। ১৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে নন্দীগ্রামের ভাটগ্রাম ইউনিয়নের চাকলমা গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়।
বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. স্নিগ্ধ আখতার প্রথম আলোকে বলেন, ইজিবাইক ছিনতাই করতেই চালক মুকুল হোসেনকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে হত্যা করা হয়। এরপর লাশ ফেলে ইজিবাইক নিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। পরদিন নন্দীগ্রাম উপজেলা থেকে অজ্ঞাতনামা লাশ উদ্ধার হয়। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানোর পর স্বজনেরা লাশ শনাক্ত করেন। এরপর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৬) বাদী হয়ে নন্দীগ্রাম থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের পর গ্রেপ্তার অভিযান চালানো হয়। রাজশাহীর চারঘাট থেকে উদ্ধার করা হয় ছিনতাই করা ইজিবাইক।
নন্দীগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, গ্রেপ্তার ছয় আসামিকে আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। এমদাদুল হক ওরফে মিলন ও আনোয়ার হোসেন প্রামাণিক আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার জন্য রাজি হয়েছেন।