‘সরকার উৎখাতের চেষ্টা এখন থেকে প্রতিহত করা হবে’

সিলেটে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজছবি: প্রথম আলো

দেশব্যাপী বিএনপি-জামায়াত নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছেন সিলেটের আওয়ামী লীগ নেতারা। তাঁরা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, কোটা আন্দোলনের নামে জামায়াত-বিএনপি সরকার উৎখাতের চেষ্টা চালাচ্ছে। এখন থেকে তা প্রতিহত করা হবে। তাদের সফল হতে দেওয়া হবে না।

আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় সিলেট নগরের মদিনা মার্কেট এলাকায় ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত শান্তি সমাবেশে বক্তারা এসব কথা বলেছেন। বেলা আড়াইটা পর্যন্ত সমাবেশ চলে। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ। সমাবেশের আগে ওই এলাকায় একটা শান্তি মিছিল বের করা হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জগদীশ চন্দ্র দাস। মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শামীম ও জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক জগলু চৌধুরী যৌথভাবে সমাবেশ সঞ্চালনা করেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বলেন, একাত্তর, পঁচাত্তর ও এখনকার খুনিরা একাত্ম হয়ে দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিকভাবে এই অপশক্তিকে মোকাবিলা করা হবে। কোমলমতি শিক্ষার্থীদের সরলতার সুযোগ নিয়ে বিএনপি-জামায়াত চক্র দেশকে অস্থিতিশীল অবস্থার দিকে ঠেলে দিচ্ছে। ওই মহলকে কোনো অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে এবার প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।

আরও পড়ুন

এদিকে আজ দুপুর ১২টায় সিলেট জেলা পরিষদ মিলনায়তনে চলমান নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে ১৪ দলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী। সভা সঞ্চালনা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাকির হোসেন। সভার শুরুতেই কোটা আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

বক্তারা বলেন, বিএনপি-জামায়াতের চলমান নৈরাজ্য ও অগ্নিসন্ত্রাস এবং সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিহত করা হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছেন। এরপরও কোন স্বার্থে এখন আন্দোলন চলছে? মূলত স্বাধীনতার সপক্ষ শক্তিগুলো বিভক্ত থাকার কারণেই একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কারের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর ভর দিয়ে দেশকে জঙ্গিবাদী রাষ্ট্র বানাতে চায়। সম্মিলিতভাবে ওই অপশক্তিকে মোকাবিলা করতে হবে।