বিএনপি নেতার বিরুদ্ধে লঞ্চঘাট ও নৌযান দখলের অভিযোগ

ভোলা জেলার মানচিত্র

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মাস্টার ও তাঁর সমর্থকদের বিরুদ্ধে কচ্ছপিয়া লঞ্চঘাট, যাত্রী পারাপার সেবাসহ কয়েকটি স্পিডবোট ও যাত্রীবাহী ট্রলার দখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে লঞ্চঘাটের ইজারাদার মো. মনির হোসেনের দুটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দক্ষিণ থানায় মৌখিক অভিযোগ দিয়েছেন ইজারাদার।

জেলা প্রশাসকের রাজস্ব বিভাগ, চরফ্যাশন উপজেলা নির্বাহীর কার্যালয়, প্রত্যক্ষদর্শীদের সূত্রে জানা গেছে, গত বৈশাখ মাসের ১ তারিখ থেকে কচ্ছপিয়া লঞ্চঘাটে টোল আদায়, কচ্ছপিয়া-কুকরিমুকরি ও কচ্ছপিয়া-চর পাতিলা নৌপথে লঞ্চ চালানোর ইজারা পান মো. মনির হোসেন। এ ছাড়া তাঁর সঙ্গে আরও দুজন অংশীদার আছেন। আগামী চৈত্র মাস পর্যন্ত তাঁদের ইজারার মেয়াদ আছে। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৬ আগস্ট দক্ষিণ আইচা থানার বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক মাস্টারের নির্দেশে বিএনপির কর্মীরা কচ্ছপিয়া লঞ্চঘাটের টোল আদায়, যাত্রী পারাপারের দখল নেন। এ সময় ৮টি যাত্রীবাহী ট্রলার ও ১২টি স্পিডবোটেরও দখল নেন তাঁরা।

আরও পড়ুন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা ফারুক মাস্টার বলেন, ‘ঘাট, স্পিডবোট, ট্রলারের ইজারা ও দক্ষিণ আইচা বাজারের দোকানের মালিকানা শুধু নামেই মনির হোসেনের। এর প্রকৃত মালিক চর কুকরি-মুকরি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল হাসেম মহাজন। যিনি দক্ষিণ আইচার বহু মানুষের অনেক জমি দখল করেছেন। এসব মানুষের পাওনা-দেনা না বুঝিয়ে দিয়ে তিনি আত্মগোপনে আছেন। যদি পাওনা-দেনা বুঝিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে তাঁর সব ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে মনির হোসেন জানান, ঘাট, যাত্রীবাহী ট্রলার, স্পিডবোট ও দোকান মিলিয়ে তাঁর প্রায় দেড় কোটি টাকার সম্পদ বিএনপির নেতারা দখল করে নিয়েছেন। এ সম্পদের মালিক তিনি এবং তাঁর পরিবার। অন্য কেউ নন। তিনি তো কারও ওপর অত্যাচার-নির্যাতন করেননি। কষ্ট করে উপার্জন করেছেন।

এদিকে কচ্ছপিয়া লঞ্চঘাটের ইজারাদার ও ট্রলারমালিক মো. সোহাগ, তাঁর ভাই ও অংশীদার মো. মনির হোসেন এবং ব্যবসায়িক অংশীদার মো. মফিজুল ইসলামদের বিরুদ্ধে বিগত দিনে যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত টোল ও চাঁদাবাজির পাশাপাশি অত্যাচার–নির্যাতনের অভিযোগ আছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

দক্ষিণ আইচা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাঈদ আহাম্মেদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, তিনি মৌখিক অভিযোগ পেয়ে ইজারাদার মো. মনির হোসেন ও তাঁর ভাই মো. সোহাগ এবং তাঁদের ব্যবসায়িক অংশীদার মো. মফিজুল ইসলামকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউ আসেননি।