নাটোর থেকে নিখোঁজ স্কুলছাত্রকে ১৫ দিন পর পাওয়া গেল ঢাকায়, কাজ করছিল হোটেল বয়ের
মা–বাবার একমাত্র সন্তান (১২) ষষ্ঠ শ্রেণিপড়ুয়া নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার এক শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয় ১৫ দিন আগে। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। গতকাল রোববার রাতে তাকে ঢাকার ভাটারার একটি খাবার হোটেল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেখানে সে পরিচয় গোপন করে শ্রমিক হিসেবে কাজ করছিল।
ধ্রুবর বাবা জানান, তাঁর একমাত্র ছেলে মুঠোফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছিল। এ কারণে তার মা তাকে সামান্য পিটুনি দিয়েছিল। তাতে সে রাগান্বিত হয়ে ৬ অক্টোবর বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়ে যায়। থানায় সাধারণ ডায়েরি করে, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণা চালিয়েও তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। হঠাৎ তার এক প্রতিবেশী যুবক সৌরভ ঢাকার ভাটারা এলাকার একটি হোটেলে খাবার খেতে গিয়ে তাকে সেখানে দেখতে পান। সে তার পরিচয় গোপন করার চেষ্টা করলেও পরে পরিচয় নিশ্চিত করে। অবশেষে রাতেই বিষয়টি সেখানকার পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশের মধ্যস্থতায় তিনি নিজে ঢাকায় গিয়ে ছেলেকে নিয়ে আসেন।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, স্কুলছাত্রকে খুঁজে পেতে পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা চালিয়েছিল। গতকাল রাতে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকার একটি খাবার হোটেলে পাওয়া গেছে তাকে। তার বাবার হাতে তাকে হস্তান্তর করা হয়েছে।