ধর্ষণের অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষককে গণপিটুনি, পরে গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহের নান্দাইলে মাদ্রাসার ছাত্রকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার মোয়াজ্জেমপুর ইউনিয়নের একটি গ্রাম থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে স্থানীয় লোকজনের হাতে পিটুনির শিকার হন তিনি।
গ্রেপ্তার মো. খলিলুল্লাহ বাড়ি ওই ইউনিয়নে। তিনি একটি মাদ্রাসার মোহতামিম। এ বিষয়ে নান্দাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, গতকাল রাতে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে খলিলুল্লাহকে থানায় আনা হয়। ধর্ষণের অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রের বাবা মামলা করেছেন। ওই মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই বছর আগে আবাসিক মাদ্রাসাটি স্থাপন করেন খলিলুল্লাহর বড় ভাই। এতে মোহতামিম হিসেবে যোগ দেন খলিলুল্লাহ। সেখানে এক ছাত্রকে খলিলুল্লাহ একাধিকবার ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ ওঠে। গতকাল বিষয়টি জানতে পারেন ছাত্রটির বাবা। সেখানে গিয়ে অন্য ছাত্রদের জিজ্ঞাসা করে ঘটনার সত্যতা খুঁজে পান। এ বিষয়ে খলিলুল্লাহর কাছে জানতে চাইলে চাপের মুখে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে খলিলুল্লাহকে মারধর করেন। পরে তাঁকে আটকে রেখে পুলিশের কাছে খবর পাঠানো হয়।
মাদ্রাসার আরও কয়েকজন ছাত্র খলিলুল্লাহর হাতে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অভিভাবকেরা। তাঁরা ওই শিক্ষকের বিচার দাবি করেছেন। এক অভিভাবক জানান, মাদ্রাসার শিক্ষক যে এমন জঘন্য ঘটনা ঘটাতে পারেন, তা অকল্পনীয়। অভিযুক্ত শিক্ষকের কঠোর শাস্তি প্রয়োজন, এতে অন্যরাও সাবধান হতে পারবে।