র‍্যাব হেফাজতে জেসমিনের মৃত্যু: ছেলে ও ভগ্নিপতির সঙ্গে কথা বলেছে তদন্ত কমিটি

সুলতানা জেসমিন
ছবি: সংগৃহীত

র‍্যাব হেফাজতে নওগাঁর ভূমি অফিসের কর্মচারী সুলতানা জেসমিনের (৪০) মৃত্যুর ঘটনায় তাঁর ছেলে শাহেদ হোসেন (সৈকত) ও ভগ্নিপতি আমিনুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলেছে তদন্ত দল। আজ সোমবার দুপুর থেকে বেলা সাড়ে তিনটা পর্যন্ত নওগাঁ সার্কিট হাউসে তাঁদের সঙ্গে কথা বলে র‍্যাবের তদন্ত দল।

পরে সার্কিট হাউসের পেছনের সিঁড়ি দিয়ে আগে থেকে প্রস্তুত রাখা গাড়িতে করে র‍্যাবের তদন্ত দলের সদস্যরা চলে যান। র‌্যাব সদস্যরা চলে যাওয়ার পর সার্কিট হাউস প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আমিনুল ইসলাম ও শাহেদ হোসেন।

আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘গত ২২ মার্চ জেসমিনকে র‌্যাব সদস্যরা আটকের পর নওগাঁ হাসপাতালে থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ২৪ মার্চ মৃত্যুর আগপর্যন্ত যেহেতু আমি ও সৈকত তাঁর (জেসমিন) সঙ্গে ছিলাম। এ সময়ের মধ্যে যা কিছু ঘটেছে, তাই বর্ণনা আকারে আমাদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে তারা (র‍্যাব)। তদন্ত দল আমাদের দুজনের বক্তব্য লিখিত আকারে গ্রহণ করেছে।’

জেসমিনের ছেলে শাহেদ বলেন, ‘আমার মায়ের স্বপ্ন ছিল, আমি গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করি। যেভাবেই হোক আমি সেটি করতে চাই।’ এ ছাড়া অন্য কোনো বিষয়ে তিনি মন্তব্য করতে চাননি।

র‌্যাব-৫-এর জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি দল ২২ মার্চ সকালে জেসমিনকে আটক করে। স্থানীয় সরকারের রাজশাহী বিভাগের পরিচালক মো. এনামুল হকের মৌখিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁকে নিয়েই র‌্যাব এ অভিযান চালায়। এনামুল হকের অভিযোগ, জেসমিন ও আল–আমিন নামের এক ব্যক্তি তাঁর (এনামুল) ফেসবুক আইডি হ্যাক করে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখাচ্ছিলেন বিভিন্নজনকে। এভাবে তাঁরা প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলেন।

আটকের পরের দিন ২৪ মার্চ সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জেসমিন মারা যান। তাঁর মৃত্যুর পর রাজশাহীর রাজপাড়া থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে যুগ্ম সচিব এনামুল হকের করা একটি মামলার কথা জানা যায়, যেটি রেকর্ডের সময় ২৩ মার্চ বিকেল। জেসমিন ও তাঁর কথিত সহযোগী আল-আমিনকে এতে আসামি করা হয়। আল-আমিনকে ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। তিনি একজন মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট।