জন্মভূমি সৈয়দপুরে নেমেই বেবী নাজনীন বললেন, ‘আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই’
জন্মভূমি নীলফামারীর সৈয়দপুরের মাটিতে পা রেখেই আবেগে আপ্লুত হয়ে পড়লেন জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা বেবী নাজনীন। তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নই। দেশ আমাদের সবার। আমাদের দেশের প্রতি ভালোবাসা চিরন্তন।’
আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বিমানে করে সৈয়দপুরে পৌঁছান বেবী নাজনীন। সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বেরিয়ে এলে সেখানে অবস্থানরত বিএনপি এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী ও দর্শনার্থীরা তাঁকে স্বাগত জানান। এ সময় অনেকেই তাঁকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। বেবী নাজনীন হাত নেড়ে নেতা–কর্মীদের অভিবাদনের জবাব দেন।
পরে বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলে বেবী নাজনীন বলেন, ‘রাজনীতি নিয়ে আমার কোনো ক্ষোভ নেই। দলের (বিএনপি) সঙ্গে ছিলাম, দলের সঙ্গে আছি। অসংখ্য তাজা প্রাণের বিনিময়ে বাংলাদেশ নতুন স্বাধীনতা পেয়েছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। আমি আমার সাধ্যমতো ছাত্র-জনতার পাশে থাকব।’
এ সময় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, তিনবারের নির্বাচিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে বেবী নাজনীন বলেন, ‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়া আমাদের অঙ্গীকার। আমার জন্মভূমির জন্য কিছু করতে চাই। আমি সৈয়দপুরে এসেছি আপোষহীন নেত্রী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য দোয়া চাইতে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শাহাদাত বরণকারী শহীদদের জন্য দোয়া চাই।’
পরে গণ–অভ্যুত্থানের সময় পুলিশের গুলিতে নিহত সাজ্জাদ হোসেনের বাঙ্গালীপুরের বাসায় যান বেবী নাজনীন। সেখানে কিছু সময় কাটান। এ সময় সৈয়দপুর বিএনপির রাজনৈতিক জেলা শাখার সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক এম এ পারভেজ লিটন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক তারিক আজিজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সংগীতের পাশাপাশি বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয় বেবী নাজনীন। ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ১০ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরেন তিনি। সেদিন তিনি বলেছিলেন, ‘বিমান থেকে নেমেই বুকভরে নিশ্বাস নিয়েছি। যে নিশ্বাসটা অতি আদরের, গভীর ভালোবাসার। এটা বহুদিন পাইনি। এই না পাওয়ার যন্ত্রণা যে কী, সেটা আজকে পাওয়ার পরে আরও বেশি বুঝতে পারছি।’