বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়কে দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনের নানা উদ্যোগ
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়–সংলগ্ন বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কে দুর্ঘটনা রোধে নানা উদ্যোগ নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গত বুধবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তা পারাপারের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী মাইশা ফৌজিয়া বাসচাপায় নিহত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে এসব উদ্যোগ নেওয়া হয়।
গত বুধবার রাত থেকে শুক্রবার রাত ১১টা পর্যন্ত তিন দফায় ২২ ঘণ্টা বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন শিক্ষার্থীরা। এতে এই মহাসড়কে হাজার হাজার যানবাহন আটকা পড়ে। শিক্ষার্থীরা মাইশাকে চাপা দেওয়া নারায়ণগঞ্জ ট্রাভেলস নামে বাসটির চালককে গ্রেপ্তার, ক্ষতিপূরণ প্রদান, সড়ক নিরাপত্তায় বিভিন্ন উদ্যোগসহ ১০ দফা দাবি ঘোষণা করে এই আন্দোলন অব্যাহত রাখে। পরে বৃহস্পতিবার রাতে বাসটির চালক জামিল হোসেনকে পটুয়াখালী থেকে আটক করে। ওই দিন রাতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বাসমালিক ও শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাতভর বৈঠকে নিহত মাইশার পরিবারকে বাসমালিকের পক্ষ থেকে ১০ লাখ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৫ লাখ ও বিআরটিএর পক্ষ থেকে ৫ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া সড়ক নিরাপত্তায় বাকি ৯ দফা দাবি পূরণে আশ্বাস দেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা তাঁদের আন্দোলন প্রত্যাহার করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মহাসড়কে নিরাপত্তায় শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নের কাজ শুরু করেছে প্রশাসন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থার সহযোগিতায় এসব পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সড়কে পদচারী–সেতু নির্মাণ, রেলিংসহ ফুটপাত নির্মাণ, স্পিড ব্রেকার ও রাম্বল স্ট্রিপ স্থাপন, জেব্রা ক্রসিং স্থাপন, গতিসীমা নির্ধারণ ও মহাসড়কে লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা। এসব বাস্তবায়নের কাজ এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। রোববার দুপুরে এসব কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক শুচিতা শরমিন।
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা চাই না আর একটি তাজা প্রাণও সড়ক দুর্ঘটনায় ঝরে যাক। এ জন্য সড়ক দুর্ঘটনা রোধে আমরা সব ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি। তারপরও আমি বলব, দুর্ঘটনা রোধে শিক্ষার্থীসহ বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার এবং সাধারণ পথচারীরা যাতে রাস্তা পারাপারে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করেন।’