সিলেটে যুবদল কর্মী খুনের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা
সিলেট নগরে যুবদল কর্মী বিলাল আহমদ মুন্সী (৩৫) খুনের ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে ৭ থেকে ৮ জনকে। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার আছেন তিনজন।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে চারটায় প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, অফিশিয়াল তথ্য অনুযায়ী গতকাল বুধবার বেলা ২টা ৫ মিনিটে এ মামলাটি নথিভুক্ত হয়।
মামলাটি করেন নিহত ব্যক্তির ভাই মোস্তাক আহমদ (বাদশা)। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হচ্ছেন মো. রুনু মিয়া, রুবেল আহমেদ, মো. সোহেল আহমেদ বিএনপি, রাসেল আহমদ, মো. রুমেলা আক্তার, দেওয়ান রফিক বিএনপি, খালেদ, দৌলত, মীর রুমেল আহমেদ, ফারুক, রোকিয়া বেগম, নাজমুল হক ও আজমল হোসেন।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, এজাহারভুক্ত আসামিরা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী হিসেবে স্থানীয়ভাবে পরিচিত। অন্যদিকে মামলার বাদী মোস্তাক আহমদের দাবি, এজাহারভুক্ত আসামিদের মধ্যে বিএনপির পাশাপাশি আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও সমর্থক আছেন।
এদিকে শাহপরান থানার পুলিশ জানিয়েছে, ঢাকা যাওয়ার সময় নরসিংদীর একটি এলাকা থেকে মামলার প্রধান আসামি রুনু মিয়াসহ তিনজনকে নরসিংদী পুলিশ গ্রেপ্তার করে। রনু মিয়া সিলেট জেলা হিউম্যান হলারচালক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি।
এর আগে গত সোমবার রাতে প্রতিপক্ষের হামলায় বিলাল নিহত হন। তিনি নগরের ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের যুবদল কর্মী হিসেবে পরিচিত। বিলাল পেশায় একজন রংমিস্ত্রি।
হত্যাকাণ্ডের পরপরই অভিযোগ ওঠে, যুবদল-ছাত্রদলের প্রতিপক্ষ নেতা-কর্মীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিলাল নিহত হন। তবে নিহত ব্যক্তির পরিবার ও স্থানীয় বিএনপির দাবি, হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরাও জড়িত।
যোগাযোগ করলে শাহপরান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, অভিযুক্ত তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অপর অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে।