সোনাইমুড়ীতে সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮
নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলায় সহিংস ঘটনায় নিহতের সংখ্যা পাঁচ থেকে বেড়ে আটজনে দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে পুলিশ সদস্য তিনজন। এ ছাড়া পুলিশের ছয়জন সদস্য এখনো নিখোঁজ রয়েছেন। গত সোমবার বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত সোনাইমুড়ী উপজেলা সদরে ও আমিশাপাড়া ইউনিয়নে এসব সহিংস ঘটনা ঘটে। এ সময় লুট হয় থানার বেশির ভাগ অস্ত্র ও গুলি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে উপজেলাজুড়ে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
সহিংসতায় নিহত ব্যক্তিরা হলেন পুলিশের তিন সদস্য উপপরিদর্শক মো. বাছির, দুই কনস্টেবল মো. মোশারফ ও মো. ইব্রাহিম। এ ছাড়া এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. রনি (২৮), বারগাঁও ইউনিয়নের হোসেনপুর গ্রামের মো. তানভির (৩০), সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা ইয়াছির আরাফাত (১৪), শিমুলিয়া গ্রামের মো. ইয়াছিন (৩২) ও সোনাইমুড়ী পৌর এলাকার মো. রায়হান (১৮)।
পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত আটজনের মধ্যে পুলিশের তিন সদস্যসহ সাতজন সোনাইমুড়ী থানায় আন্দোলনকারীদের হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিহত হন। আরেকজন নিহত হন আমিশাপাড়া ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের হামলায়।
সূত্র জানায়, সোমবার রাত ১০টার দিকে আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. রনিকে (২৮) এক দল দুর্বৃত্ত পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করে। রনি স্থানীয় আইছপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
ঘটনার পর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায়ও কিছু জানানো হয়নি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাঁর লাশ দাফন করা হয়। জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সোনাইমুড়ী থানায় হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পুলিশের তিনজন সদস্য ছাড়াও হামলাকারীদের দুজন নিহত হয়েছেন বলে তাঁরা শুনেছেন। এ ছাড়া আমিশাপাড়ায় খুনের বিষয়ে তাঁদের কাছে কোনো তথ্য নেই। পুলিশ সুপার বলেন, সোনাইমুড়ী ও চাটখিল থানায় হামলার ঘটনায় বেশ কিছু অস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। তবে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলির হিসাব শেষ করা যায়নি।