পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে: আইজিপি

খুলনা মহানগর পুলিশ লাইনসে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। বুধবার দুপুরেছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেছেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তাদের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত চলছে। তদন্তে আসল তথ্য বেরিয়ে আসবে। পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে সাংবাদিকদের বৈঠক হয়েছে। আশা করি, বিষয়টি আলোচনার মধ্য দিয়েই নিরসন হবে।’

আজ বুধবার দুপুরে খুলনা মহানগর পুলিশ (কেএমপি) লাইনসে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। কেএমপির অস্ত্রাগার ভবনের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন আইজিপি।

আরও পড়ুন

পরীমনি-সাকলায়েন–সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) সাবেক অতিরিক্ত উপকমিশনার গোলাম সাকলায়েনের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। কোনো পুলিশ সদস্যের অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ পুলিশ সব সময় জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করে থাকে।

আইজিপি বলেন, ‘সরকার যেমন পুলিশের জনবল বৃদ্ধি ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে যত্নশীল, আমরা পুলিশ বাহিনীও তেমনি জনগণকে সেবার মাধ্যমে তার প্রতিদান দিতে চাই। সব সময় থানার দরজা খোলা থাকে, মানুষ সেখানে আসেন। মানুষের সমস্যা শোনার জন্য আমরা প্রস্তুত থাকি। সব ধরনের অপরাধের বিরুদ্ধে আমরা প্রস্তুত আছি।’

আরও পড়ুন

চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন আরও বলেন, একসময় জাহানাবাদ–খ্যাত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এই জনপদ সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ছিল। সুন্দরবন কখনো শান্ত সুন্দরবন ছিল না। সুন্দরবন ছিল দস্যুদের অভয়ারণ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য দিকনির্দেশনায় বাংলাদেশ পুলিশ সেই সমস্ত সন্ত্রাসীদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। এর ফলে খুলনা এখন শান্তির জনপদ। খুলনার জনগণ এখন উৎফুল্লচিত্তে নিরাপদে নির্বিঘ্নে তাঁদের ব্যবসা-বাণিজ্য ও অন্যান্য দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারছেন।

আইজিপি বলেন, ‘বিল্ডিং ও জনবল বাড়বে—এটা আমাদের সৌন্দর্যবৃদ্ধির জন্য নয়, জনসেবার মধ্য দিয়েই ঋণ পরিশোধ করতে চাই। বাংলাদেশ পুলিশ এ দেশের মানুষের সেবা দিয়ে গর্বিত হতে চায়। এবার আমরা স্লোগান দিয়েছি “দেশ সেবাই আমাদের আনন্দ, সেবাই আমাদের উৎসব”। সেই সেবাকে ব্রত নিয়ে আমরা কাজ করছি।’

আরও পড়ুন

এর আগে চারতলা অস্ত্রাগার ভবন, ছয়তলা মাল্টিপারপাস ভবন ও বৈদ্যুতিক উপকেন্দ্রের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন আইজিপি। এ ছাড়া খালিশপুর থানার বড় বয়রা পুলিশ ফাঁড়ি ও বয়রা পুলিশ লাইনসের মাল্টিপারপাস শেড উদ্বোধন করেন তিনি। পরে পুলিশ কমিশনারের কার্যালয়ে পুলিশ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় যোগ দেন আইজিপি।

এ সময় কেএমপির পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক, খুলনার ডিআইজি (কমান্ড্যান্ট) মো. নিশারুল আরিফ, খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি মঈনুল হক, কেএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।