রাঙামাটি জেলা পরিষদ পুনর্গঠনে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
রাঙামাটি জেলা পরিষদে কাউখালী, বরকল, জুরাছড়ি ও রাজস্থলী উপজেলার কোনো প্রতিনিধি না থাকায় প্রতিবাদ জানিয়ে এক সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ওই চার উপজেলার বাসিন্দাদের পক্ষে কয়েকজন ব্যক্তি রাঙামাটি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। সংবাদ সম্মেলনে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এসব উপজেলার প্রতিনিধি অন্তর্ভুক্ত করে জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করা না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী রাজীব চাকমা। জুরাছড়ি উপজেলার বাসিন্দাদের পক্ষে তিনি সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত রয়েছেন বলে জানান। একইভাবে বরকল উপজেলার পক্ষে পুলিন বিহারী চাকমা ও মো. এমদাদ হোসেন, কাউখালী উপজেলার পক্ষে মো. জসিম উদ্দিন ও মো. তারা মিয়া এবং রাজস্থলী উপজেলা পক্ষে দীননাথ তঞ্চঙ্গ্যা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, রাঙামাটি সদর উপজেলা থেকে ৯ জনকে রেওয়াজবহির্ভূতভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তবে চারটি উপজেলার কোনো প্রতিনিধি রাখা হয়নি। এর মধ্য দিয়ে জেলা পরিষদে বৈষম্য তৈরি করা হয়েছে। এতে বাসিন্দাদের মধ্যে যেমন হতাশা ও ক্ষোভ দেখা দিয়েছে, তেমনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সুনামও ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
বিতর্কিত অনেককেই পরিষদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে অভিযোগ তুলে বক্তারা বলেন, জেলা পরিষদের বেশির ভাগ সদস্য জনবিচ্ছিন্ন। একই পরিবারের দুজন সদস্য যেমন রয়েছেন, তেমনি হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামির নামও রয়েছে। অবিলম্বে জেলা পরিষদ পুনর্গঠন করতে হবে।