অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের পর প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি আওয়ামী লীগ নেতার
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও গড্ডিমারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে শ্যামল প্রশাসনকে ‘দাঁতভাঙা জবাব’ দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় গড্ডিমারী ইউনিয়নের গড্ডিমারী গ্রামে লালমনিরহাট-১ (পাটগ্রাম-হাতীবান্ধা) আসনের সংসদ সদস্য মোতাহের হোসেনের এক নির্বাচনী সভায় তিনি ওই হুমকি দেন।
আবু বকর সিদ্দিক সংসদ সদস্য মোতাহের হোসেনের ব্যক্তিগত সহকারী (এপিএস) হিসেবে কাজ করেন। দলীয় প্রভাব খাটিয়ে তিনি সরকারি জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করেছিলেন বলে অভিযোগ আছে। গতকাল সকালে গড্ডিমারী ইউনিয়নের দোয়ানিতে তিস্তা ব্যারাজ-সংলগ্ন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবোর) ২৫ শতাংশ খাসজমির ওপরে নির্মিত তাঁর ‘বৈরালী রেস্তোরাঁ’ গুঁড়িয়ে দেন জেলা প্রশাসন পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই অভিযানের পরিপ্রেক্ষিত বক্তব্য দেন আবু বকর সিদ্দিক। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও প্রথম আলোর হাতে এসেছে।
প্রশাসনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘যাঁরা এই ভাঙচুরে (অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ) অংশগ্রহণ করেছেন, যাঁরা এতে মদদ দিয়েছেন, তাঁরা আওয়ামী লীগের লোক হতে পারেন না। ওই সব প্রশাসন জামায়াত-বিএনপির এজেন্ডা বাস্তবায়ন করেছে।’ তিনি বলেন, ‘৭ তারিখের পরের তারিখ আওয়ামী লীগের তারিখ, শেখ হাসিনার তারিখ, জননেতা মোতাহার হোসেনের তারিখ, আমাদের তারিখ। আমি হুঁশিয়ার করে দিতে চাই, আপনারা যে কাজটি আজ (বুধবার) করেছেন, দাঁতভাঙা জবাব ইনশাআল্লাহ আমরা দেব।’
উচ্ছেদ অভিযানকে নৈরাজ্য আখ্যা দিয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকার পরও আজকে (গত বুধবার) দোয়ানির মাটিতে এই নৈরাজ্য কেন হলো? এর জবাব প্রশাসনকে দিতে হবে। প্রশাসনকে অবশ্যই জবাব দিতে হবে। শুধু ৭ তারিখের অপেক্ষায় আছি। আমরা গড্ডিমারীবাসী ঐক্যবদ্ধ আছি। ৭ তারিখের পরে আমরা সমস্ত রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেব। এদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত কোনো রাস্তাঘাট খুলে দেওয়া হবে না।’
দৃষ্টি আকর্ষণ করলে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা আইন অনুযায়ী কাজ করেছি।’ রাস্তাঘাট বন্ধের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘৭ তারিখ এখনো দূরে। ৭ তারিখ আসুক তখন বলা যাবে।’ তাঁরা সব পর্যবেক্ষণ করছেন।