রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে পদত্যাগে বাধ্য করানোর অভিযোগ
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (রামেবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হাবিবকে শিক্ষার্থীরা পদত্যাগ করতে বাধ্য করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পদত্যাগের পর আনোয়ার হাবিবের পক্ষ থেকে এ দাবি করা হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে তিনি পদত্যাগ করেন।
রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, আজ সকাল থেকে নিজ দপ্তরেই ছিলেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আনোয়ার হাবিব। বেলা ১১টার দিকে ছাত্র পরিচয় দিয়ে ৩০ থেকে ৩৫ জন তাঁর দপ্তরে ঢোকেন। তাঁরা একটি পদত্যাগপত্রও লিখে নিয়ে যান। পরে সেটিতে আনোয়ার হাবিবের স্বাক্ষর নেওয়া হয়। এরপর অফিস থেকে বেরিয়ে বাসায় চলে যান আনোয়ার হাবিব।
প্রত্যক্ষদর্শী একটি সূত্র জানায়, আনোয়ার হাবিব আগে রাজশাহী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ছিলেন। যাঁরা তাঁর পদত্যাগের দাবি নিয়ে এসেছিলেন, তাঁরা দাবি করছিলেন, ২০১৭ সালে একটি রাজনৈতিক দলের ছাত্রসংগঠনের অনুসারী শিক্ষার্থীদের হোস্টেল ছাড়তে এক ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন তৎকালীন অধ্যক্ষ আনোয়ার হাবিব। সে কারণে আজ কিছু প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী আনোয়ার হাবিবের পদত্যাগের দাবি নিয়ে আসেন।
ছাত্রদের চাপে পদত্যাগের বিষয়ে জানতে আজ আনোয়ার হাবিবের মুঠোফোনে কল করা হলে তিনি ব্যস্ত আছেন বলে লাইন কেটে দেন। এরপর তাঁর মুঠোফোনে তিনবার কল দেওয়া হলেও তিনি আর ধরেননি। একবার তাঁর স্ত্রী রিসিভ করেন। তিনি বলেন, তাঁর স্বামী চিকিৎসকের কাছে ফিজিওথেরাপি নিতে গিয়েছেন। তাঁর সঙ্গে এখন যোগাযোগ করা যাবে না। তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামীকে জোরপূর্বক পদত্যাগ করানো হয়েছে। রেজিস্ট্রার বরাবর লেখা একটি পদত্যাগপত্র আগে থেকেই প্রস্তুত করে আনা হয়েছিল।
এ বিষয়ে জানতে রাজশাহী মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জাকির হোসেন ও উপাচার্য এ জেড এম মোস্তাক হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁরা ধরেননি।