এবার প্রকাশ্যে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির, যা বলছেন অন্যরা
কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারির নাম প্রকাশ্যে এসেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় শিবির’ নামের পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়। এরপর তাঁরা ক্যাম্পাসে গিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কুশল বিনিময়ও করেছেন।
ওই পেজে একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘২৮ অক্টোবর ঐতিহাসিক পল্টন ট্র্যাজেডি দিবস উপলক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের উদ্যোগে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ইবি সভাপতি এইচ এম আবু মুসার সভাপতিত্বে ও সেক্রেটারি মু. মাহমুদুল হাসানের সঞ্চালনায় ওই দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিশে শুরা সদস্য আলী আজম মো. আবু বকর।’
এইচ এম আবু মুসা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবিরের সভাপতি। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে দায়িত্বে আছি। সেক্রেটারিও একই সময় থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তবে পূর্ণাঙ্গ কমিটি নেই। তিনিসহ তাঁর কর্মীরা সব সময় ক্যাম্পাসে সক্রিয়ভাবে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালিয়ে আসছেন। ক্যাম্পাসে ছাত্রশিবিরের অন্তত ২ হাজার ২০০ কর্মী আছে। সবাই সক্রিয় সদস্য।’
কথা প্রসঙ্গে শিবিরের এই নেতা জানান, তিনি আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। সম্প্রতি মাস্টার্স শেষ করেছেন। ক্যাম্পাসের বাইরে শেখপাড়া এলাকায় মেসে থাকেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মাঠে ছিলেন জানিয়ে বলেন, আগামীতে সাংগঠনিক সব রকম কার্যক্রম ফেসবুক পেজের মাধ্যমে জানানো হবে। পেজটি ২০১৩ সাল থেকে চলমান। এক সপ্তাহ আগে থেকে তিনি ব্যবহার করছেন। তিনি এর আগে কোনো সংগঠনের সঙ্গে জড়িত ছিলেন না। কোনো রাজনৈতিক সংগঠনেও সম্পৃক্ত ছিলেন না।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মুসার বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের দ্বীপচর গ্রামে। সেক্রেটারি মাহমুদুল হাসান ফলিত পুষ্টি ও খাদ্যপ্রযুক্তি বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তাঁর বাড়ি কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলায়।
জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক শাহেদ আহমেদ বলেন, গণতান্ত্রিক বা প্রগতিশীল যেকোনো সংগঠনকে সাধুবাদ জানাই। ক্যাম্পাসে নিরাপদ ও শিক্ষাবান্ধব রাজনীতি চাই।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সমন্বয়ক মুখলেছুর রাহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রশিবিরের সভাপতি ফোন দিয়েছিলেন। তাঁকে বলা হয়েছে, লেজুড়বৃত্তির রাজনীতি করার সুযোগ নেই। রাজনীতি করতে হলে শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে ও বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কারে যতটুকু করার দরকার করতে হবে।’