সুনামগঞ্জে সাবেক মেয়র নাদের বখতসহ আওয়ামী লীগের ৫ নেতা কারাগারে
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সুনামগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র নাদের বখতসহ আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আজ রোববার সুনামগঞ্জের দ্রুত বিচার আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিচারক তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
নাদের বখত ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের জেলা কমিটির সদস্য সাহারুল ইসলাম (আফজাল) জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সোয়েব চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ, জেলা ছাত্রলীগের সদস্য মসিবুর রহমান। সুনামগঞ্জ পৌর শহরে গত ৪ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় করা মামলার এজহারভুক্ত আসামি তাঁরা। জামিন নামঞ্জুরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিদের আইনজীবী প্রদীপ কুমার নাগ।
আজ বেলা সাড়ে ১১টায় জামিন শুনানি শেষে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করার আদেশ দেন। এরপর আসামিদের এজলাসকক্ষ থেকে বের করে হাজতে নেওয়ার সময় বারান্দায় থাকা দলীয় কর্মী-সমর্থকেরা জয়বাংলা স্লোগান দেন।
পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আনেন আইনজীবীরা। জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মাসুক আলম বলেন, ‘আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি আদালতকে অবহিত করেছি। বলেছি, আদালতের বারান্দায় দলীয় স্লোগান দেওয়ায় আদালতের কার্যক্রম ও শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হয়েছে।’
৪ আগস্ট আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হন দোয়ারাবাজার উপজেলা বাসিন্দা জহুর আহমদ। তাঁর ভাই হাফিজ আহমদ বাদী হয়ে ২ সেপ্টেবর সদর মডেল থানায় দ্রুত বিচার আইনে একটি মামলা করেন। এই মামলায় সাবেক পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মন্নান, সুনামগঞ্জের দুজন সাবেক সংসদ সদস্য, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণসহ ৯৯ জনকে আসামি করা হয়। মামলায় অজ্ঞাত আসামি আছেন আরও ১৫০–২০০ জন। এই মামলায় ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে শান্তিগঞ্জ উপজেলার নিজ বাড়ি থেকে এম এ মান্নানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার হন সুনামগঞ্জের সাবেক সংসদ সদস মুহিবুর রহমান ওরফে মানিক। বর্তমানে তাঁরা জামিনে আছেন।