কারাগারে যাওয়ার সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর মুক্তি পেলেন মাহিয়া মাহি
পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলায় কারাগারে যাওয়া চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি মুক্তি পেয়েছেন। গ্রেপ্তারের ৮ ঘণ্টা ও কারাগারে যাওয়ার প্রায় সাড়ে ৫ ঘণ্টা পর আজ শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় গাজীপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি।
গাজীপুর জেলা কারাগারের সুপার আনোয়ারুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, আদালত থেকে বেলা ১টা ৫০ মিনিটে মাহিয়া মাহিকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে তাঁর আইনজীবী আবেদন করলে জামিন মঞ্জুর হয়। কাগজপত্র যাচাই–বাছাই শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।
এর আগে আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে পুলিশের করা মামলায় বিমানবন্দর এলাকা থেকে মাহিয়া মাহিকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর মহানগর পুলিশ। একই মামলার আসামি তাঁর স্বামী রকিব সরকার পলাতক।
গ্রেপ্তারের পর আজ দুপুরে গাজীপুর আদালতে নিয়ে মাহিয়া মাহির সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। আদালতের বিচারক রিমান্ড নামঞ্জুর করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে মাহিয়া মাহির আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. আহসানুল হক প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে মাহিয়া মাহির আইনজীবীরা তাঁর জামিনের আবেদন করেন। গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মো. ইকবাল হোসেন দুটি মামলায়ই তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
পুলিশ জানায়, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা ছাড়াও কোটি টাকা মূল্যের জমি জোর করে দখলের অভিযোগে গতকাল শুক্রবার মাহিয়া মাহি সরকার ও তাঁর স্বামী রকিব সরকারকে হুকুমের আসামি করে গাজীপুরের বাসন থানায় মামলা করেন ইসমাইল হোসেন নামের স্থানীয় এক ব্যবসায়ী।
মাহিয়া মাহির আইনজীবী আনোয়ার সাদত সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই সময় (দুপুরে) মাহিয়া মাহির জামিন চাওয়া হয়নি। এখন আমরা তাঁর জামিন চাইলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন। পরে তাঁর জামিনের কাগজপত্র কারাগারে নিয়ে যাই। তা যাচাই–বাছাই শেষে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।’
এর আগে দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্যা নজরুল ইসলাম বলেন, আজ সকালে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরলে বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই ফ্লাইটে তাঁর স্বামীর দেশে আসার কথা থাকলেও তিনি পালিয়ে থাকার জন্য সৌদি আরবে রয়ে গেছেন।