অটো পাসের দাবিতে ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের অবস্থান কর্মসূচি

সেশনজটের কারণে ৩ বছরের ডিগ্রি ৬ বছরে রূপান্তর করা ও অটো পাসের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন ডিগ্রির শিক্ষার্থীরা। আজ দুপুরে গাজীপুরের বোর্ডবাজার এলাকায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরাছবি: প্রথম আলো

সেশনজটের কারণে ৩ বছরের ডিগ্রি ৬ বছরে রূপান্তর করা ও অটো পাসের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও বিক্ষোভ করেছেন ডিগ্রির শিক্ষার্থীরা। আজ রোববার দুপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থীরা ডিগ্রি বৈষম্য নিরসন আন্দোলনের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন। কর্মসূচি পালন শেষে তাঁরা উপাচার্য বরাবর একটি স্মারকলিপি দেন। তাঁদের সঙ্গে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশ ও দেশের বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, ডিগ্রি শিক্ষার্থীদের হয়রানি ও বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে এবং ডিগ্রি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের ফলাফলের ভিত্তিতে তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করতে হবে। ডিগ্রি কোর্স সর্বোচ্চ ৩ বছরের মধ্যে শেষ করার কথা থাকলেও গত ৬ থেকে ৭ বছরেও ফাইনাল পরীক্ষার চূড়ান্ত ধাপ শেষ হয়নি। বর্তমান সময়ে সবচেয়ে অবহেলিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রি কোর্সের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। ডিগ্রি থেকে বিসিএস বা ভালো চাকরির পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ২ বছরের মাস্টার্স করা প্রয়োজন হয়।

তাঁরা আরও জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন ডিগ্রি কোর্সে অধ্যয়নরত ছাত্রছাত্রী বেশির ভাগই নিয়মিত, অনিয়মিত, প্রাইভেট ও সার্টিফিকেট কোর্সের এবং নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। জীবিকার তাগিদে পড়ালেখার পাশাপাশি অনেকেই কর্ম করেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনেক সময় চাকরিও ছেড়ে দিতে হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময়ে আমাদের অনেকেই আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন। আন্দোলনে আহত-ট্রমায় ভোগা শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা দেওয়া সম্ভব নয়। এ ছাড়া বন্যায় অনেকের পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাই বৈষম্য নিরসনের লক্ষ্যে মানবিক কারণে দ্রুততার ভিত্তিতে শেষ করে অবিলম্বে ডিগ্রি প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষের সিজিপিএ–এর ভিত্তিতে ডিগ্রি তৃতীয় বর্ষের সব সেশনের ফাইনাল শিক্ষার্থীদের দ্রুত অটো পাস দিয়ে তৃতীয় বর্ষের ফলাফল প্রকাশের অনুরোধ করছি।  

এ বিষয়ে কথা বলতে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. এনামুল করিমের মুঠোফোনে একাধিক ফোন দিলেও তিনি ফোন ধরেননি।