সিলেট সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে ১৯ নভেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। দলটির মধ্যে এখন চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। গণসমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতিসহ সার্বিক বিষয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর সঙ্গে।
প্রশ্ন :
প্রথম আলো: সিলেট বিভাগীয় গণসমাবেশ সামনে রেখে আপনাদের প্রস্তুতি কেমন?
আরিফুল হক চৌধুরী: বিএনপির নেতা-কর্মীরা সিলেট মহানগর ও জেলা শহরসহ বিভাগের প্রতিটি উপজেলায় গণসংযোগ, প্রচারপত্র বিলিসহ প্রস্তুতি বৈঠক করেছে। এখনো তা অব্যাহত আছে। সাধারণ মানুষ বিএনপির দাবিগুলোর সঙ্গে একাত্ম হয়েছে। তাই গণসমাবেশে বিএনপির নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি প্রচুরসংখ্যক সাধারণ মানুষও অংশ নেবে বলে আমরা ধারণা করছি।
বিএনপি শান্তিপূর্ণভাবে বিভাগীয় গণসমাবেশ সফল করতে চায়। সিলেট রাজনৈতিক সম্প্রীতির অঞ্চল হিসেবে সুপরিচিত, এখানে রাজনৈতিক শিষ্টাচার আছে। আমরা বিশ্বাস রাখি, বিএনপির এই কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবেই শেষ হবে। স্বতঃস্ফূর্তভাবেই মানুষ সমাবেশে অংশ নেবেন। অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে এই সমাবেশে সবচেয়ে বেশি মানুষের উপস্থিতি ঘটবে। এটি হবে সিলেটের স্মরণকালের সবচেয়ে বড় গণসমাবেশ।
প্রশ্ন :
প্রথম আলো: সিলেটের সমাবেশে মানুষের উপস্থিতি কেমন হতে পারে বলে আপনাদের ধারণা?
আরিফুল হক চৌধুরী: এটা এখনই বলা অসম্ভব। তবে আমরা চাইছি সরকারি আলিয়া মাদ্রাসা মাঠের বাইরেও যেন জনসমাগম হয়, সেটা নিশ্চিত করতে। ১৯ নভেম্বর পুরো সিলেট শহরকে জনসমাবেশস্থলে পরিণত করবে বিএনপি। অন্তত চার লাখ মানুষের সমাগম আমরা ঘটাতে চাই।
প্রশ্ন :
প্রথম আলো: সিলেটে তো বিএনপির নানা পক্ষ আছে। এটা কী গণসমাবেশ আয়োজনে প্রভাব ফেলছে?
আরিফুল হক চৌধুরী: না, তেমন নয়। সিলেটে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ। এখানে কোনো দ্বন্দ্ব, বিভেদ নেই। বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে গণসমাবেশ সফলে লিফলেট বিতরণ, প্রচার মিছিল, সমাবেশসহ নানা কর্মসূচি পালন করছে। সবার এখন একটাই লক্ষ্য, অন্যান্য বিভাগীয় গণসমাবেশের মতো সিলেটের গণসমাবেশও যেকোনো মূল্যে সফল করতে হবে।