মজুতবিরোধী অভিযান: নওগাঁয় আরও ৬ চাল ব্যবসায়ীকে জরিমানা
নওগাঁয় অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত রাখার অপরাধে ৬ জন ব্যবসায়ীকে ১ লাখ ৪৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে মহাদেবপুর উপজেলার তিনটি চালকলের মালিক এবং বদলগাছী ও মান্দা উপজেলার তিন চাল ব্যবসায়ীকে এ জরিমানা করা হয়।
এ নিয়ে গত ৩ দিনে (মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার) নওগাঁয় ১৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমাণ আদালত ও জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, মহাদেবপুর উপজেলার চৌমাসিয়া এলাকায় অবস্থিত শিউলি অটো রাইস মিলের গুদামে এক মাসের বেশি সময় ধরে নির্দেশ করা ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ধান মজুত রাখায় প্রতিষ্ঠানটির মালিক রেজাউল ইসলামকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া উপজেলার বিক্রমপুর অটো রাইস মিলের গুদামে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি ধান মজুত থাকায় প্রতিষ্ঠানের মালিক সাখাওয়াত হোসেনকে ৪০ হাজার টাকা ও ওসমান অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের চালকলের গুদামে ধারণক্ষমতার চেয়ে বেশি আতপ চাল মজুত রাখায় মালিক ওসমান গণিকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মহাদেবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসান গতকাল সন্ধ্যা ছয়টা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে এসব জরিমানা করেন।
বদলগাছীর ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তৃপ্তি কণা মণ্ডল বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের পিন্ডিরা গ্রামে আবদুল জব্বার নামের এক চাল ব্যবসায়ীকে ১০ হাজার টাকা এবং মথুরাপুর ইউনিয়নের চাঁপাইনগর গ্রামে শরিফুল ইসলাম নামের আরেক চাল ব্যবসায়ীকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চাল ক্রয়-বিক্রয়ের রসিদ সংরক্ষণে না রাখায় ওই দুই ব্যবসায়ীকে জরিমানা করা হয়।
মান্দার ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট লায়লা আঞ্জুমান বানু বলেন, লাইসেন্স ছাড়াই চালের আড়তের ব্যবসা করায় উপজেলার প্রসাদপুর বাজারে হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যবসায়ীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, ধান-চালের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মঙ্গলবার থেকে জেলার বিভিন্ন ধান-চালের প্রতিষ্ঠানে মজুতবিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। অভিযান থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে ৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অবৈধভাবে মজুত করা ধান-চাল সঠিকভাবে খোলাবাজারে বিক্রি নিশ্চিত করতে সহকারী কমিশনার (ভূমি), কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা, উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক এবং একজন উপপরিদর্শকের (এসআই) সমন্বয়ে টিম গঠন করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি তদারক করবেন। এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান জেলা প্রশাসক।