ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরীর বিরুদ্ধে মামলা
সিলেটে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। গত শুক্রবার রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় তাঁকে আটক করেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা।
কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন আজ সোমবার সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে প্রথম আলোকে মামলার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টার দায়ে পাসপোর্ট আইনে গতকাল রোববার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে মামলাটি করে বলে জানিয়েছেন তিনি।
এর আগে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় গত শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আটক করে বিজিবি। পরদিন শনিবার সকালে তাঁকে কানাইঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়। এরপর ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে গত শনিবার বিকেলে আদালতে হাজির করলে সিলেটের জ্যেষ্ঠ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট-১ আলমগীর হোসাইন তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আদালতে প্রবেশের সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা দলবদ্ধ কিছু ব্যক্তি শামসুদ্দিন চৌধুরীকে বেধড়ক কিলঘুষি মারেন। অনেকে ডিম ছোড়ার পাশাপাশি জুতাও নিক্ষেপ করেন। কেউ কেউ শামসুদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে কটূক্তিমূলক স্লোগানও দেন এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে জখম করেন। আক্রমণ থেকে বাঁচিয়ে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা কোনোরকমে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে আদালত ভবনে ঢোকান।
কারাগারের একটি সূত্র জানিয়েছে, শনিবার বিকেলে আদালত থেকে শামসুদ্দিন চৌধুরীকে শহরতলির বাদাঘাট এলাকায় সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক তাঁকে ‘আনফিট’ উল্লেখ করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। সে অনুযায়ী ওই দিন সন্ধ্যায় শামসুদ্দিন চৌধুরীকে হাসপাতালে আনা হয়।
ওসমানী হাসপাতালে শনিবার রাতে শামসুদ্দিন চৌধুরীর স্কোটাল ইনজুরির (অণ্ডকোষে আঘাত) কারণে অস্ত্রোপচার করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই চিকিৎসাধীন। তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও মেডিসিন বিভাগের প্রধান অধ্যাপক শিশির চক্রবর্ত্তীকে সভাপতি করে আট সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে।