চুয়াডাঙ্গায় এনজিওর হিসাবরক্ষককে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটের চেষ্টা

প্রতীকী ছবি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় এনজিও ব্যুরো বাংলাদেশের শাখা কার্যালয়ে ঢুকে লুটের চেষ্টা চালিয়েছে এক সশস্ত্র দুর্বৃত্ত। সে হেলমেট ও মাস্ক পরা ছিল। কার্যালয়ে ঢুকে সে হিসাবরক্ষক ফেরদৌস আলমকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে লুটের চেষ্টা করে। তবে ওই কর্মকর্তা চিৎকার করলে দুর্বৃত্ত পালিয়ে যায়।

যাওয়ার আগে ওই হিসাবরক্ষকের টেবিলের পাশে বোমাসদৃশ একটি বস্তু রেখে যায় এবং বাইরে থেকে অফিসের দরজা বন্ধ করে দেয়। চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন সেখানে পৌঁছে দরজা খুলে ওই কর্মকর্তাকে উদ্ধার করে। আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার সময় ওই হিসাবরক্ষক একাই অফিসে ছিলেন।

খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। চুয়াডাঙ্গা থেকে সেনাবাহিনী ও ঝিনাইদহ থেকে র‍্যাবের দুটি দল এবং পুলিশ ও গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) একাধিক দল বিকেল চারটা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ছিলেন। এ ছাড়া বোমাটি পরীক্ষা ও নিষ্ক্রিয় করতে যশোর থেকে সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিট দর্শনার পথে রওনা দিয়েছে।

হিসাবরক্ষক ফেরদৌস আলম মুঠোফোনে প্রথম আলোকে জানান, আজ বুধবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে তিনি দর্শনা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ব্যুরো বাংলাদেশের শাখা কার্যালয়ে একা বসে দাপ্তরিক কাজ করছিলেন। ওই সময় মাথায় হেলমেট ও মুখে মাস্ক পরা অজ্ঞাতপরিচয় একজন দুর্বৃত্ত সেখানে প্রবেশ করে। টেবিলের পাশে বোমাসদৃশ একটি বস্তু রেখে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে জিম্মি করে। এরপর ওই দুর্বৃত্ত বলে যে ‘যা আছে দিয়ে দে, চিৎকার করবি না। বাইরে আমার মতো আরও পাঁচ–ছয়জন আছে।’ একপর্যায় সাহস করে হাত দিয়ে পিস্তল সরিয়ে জানালার কাছে গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার দিতে থাকেন তিনি। অবস্থা বেগতিক বুঝতে পেরে ওই দুর্বৃত্ত এনজিও অফিস থেকে বেরিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বোমাসদৃশ বস্তুটি হিসাবরক্ষকের টেবিলের পাশে রেখে এবং বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।

এনজিওর এই কর্মকর্তা বলেন, দুর্বৃত্ত পালিয়ে যাওয়ার তিন–চার মিনিট পর আশপাশের লোকজন সেখানে এসে পৌঁছায় এবং বাইরে থেকে দরজা খুলে দেন। এরপর আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে খবর দেওয়া হয়।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদ তিতুমীর প্রথম আলোকে বলেন, খবর পাওয়ার পর পুলিশের দামুড়হুদা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানাসহ পুলিশের একটি দল এবং সেনাবাহিনী, র‍্যাব ও ডিবি পুলিশের সদস্যরা সরেজমিন কাজ করছেন। সেনাবাহিনীর বোম ডিসপোজাল ইউনিটকে খবর দেওয়া হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি। যে বা যারা এ ঘটনায় জড়িত, তাদের আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি।’