দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় শিশু আইনে দুই তরুণের ১০ বছর আটকাদেশ
নাটোরে প্রতিবন্ধী শিশুকে (ঘটনার সময় বয়স ছিল ১১ বছর) দলবদ্ধ ধর্ষণের মামলায় দুই তরুণকে ১০ বছর করে আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত। ঘটনার সময় আসামিরা অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকায় শিশু আইনে তাঁদের দণ্ড নির্ধারণ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামিদের অনুপস্থিতিতে নাটোরের শিশু আদালতের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এই রায় ঘোষণা করেন।
আটকাদেশপ্রাপ্ত তরুণেরা হলেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার বড় আদিমপুর গ্রামের মো. বেল্লালের ছেলে মো. রাসেল এবং আজহার প্রামাণিকের ছেলে মো. রমিজুল। তাঁরা জামিনে বেরোনোর পর থেকে পলাতক। বর্তমানে তাঁরা প্রাপ্তবয়স্ক বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার আইনজীবী।
আটকের সময় বা আত্মসমর্পণের সময় আসামিরা প্রাপ্তবয়স্ক হলে নিয়মিত কারাগারে যাবেন।
মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ নাটোরের সিংড়া উপজেলার বড় আদিমপুর গ্রামে এ দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। প্রতিবন্ধী ওই শিশুকে ওই দিন সন্ধ্যায় দুই আসামি গ্রামের একটি ভুট্টাখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরদিন ভুক্তভোগী শিশুর মামা বাদী হয়ে দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। ওই বছর ২৭ মে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ আদালত রায় ঘোষণা করেন।
শিশু আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আনিছুর রহমান জানান, শিশু আইনে সর্বোচ্চ সাজাই আসামিদের দেওয়া হয়েছে। পলাতক দুই আসামি আটক হওয়ার দিন থেকে বা আত্মসমর্পণ করলে সেই দিন থেকে তাঁদের আটকাদেশ কার্যকর হবে।
রায়ে বলা হয়, ঘটনার সময়কার বয়স বিবেচনায় রায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আটকের সময় বা আত্মসমর্পণের সময় আসামিরা প্রাপ্তবয়স্ক হলে নিয়মিত কারাগারে যাবেন। আর অপ্রাপ্তবয়স্ক থাকলে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হবে। এ ছাড়া অভিযুক্ত তরুণেরা এ পর্যন্ত যত দিন আটক ছিলেন, তা রায়ে ঘোষিত আটকাদেশ থেকে বাদ যাবে বলেও রায়ে উল্লেখ করা হয়।