কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার
কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলামকে (৪৪) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত সদর উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী ওরফে বিন্দুকে স্থায়ী বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। গতকাল শুক্রবার রাতে ছাত্রলীগের উপদপ্তর সম্পাদক বারেক হোসাইন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদাপরিপন্থী কার্যকলাপে জড়িত অভিযোগে রেজভি কবির চৌধুরীকে দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হলো।
এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘রেজভি কবির চৌধুরীকে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কারের চিঠি পেয়েছি। ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাই। শৃঙ্খলা ও মর্যাদাপরিপন্থী কাজ যে–ই করুক, দলে তাঁর ঠাঁই নেই।’
গতকাল বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলা সদরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় মোটরসাইকেল সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে পৌরসভা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ শরিফুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় নিহত আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলামের স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে গতকাল রাতে কুড়িগ্রাম সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ সাত থেকে আটজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন। অপর দিকে কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রাজু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে শরিফুল ইসলামের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করা হয় এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শাস্তির দাবি জানানো হয়।
কুড়িগ্রাম সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহত ব্যক্তির গলায় ও গায়ে আঁচড়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। মামলার দুই আসামি কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।