শেরপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়কের অপসারণের দাবিতে সাংবাদিকদের বিক্ষোভ
২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহকালে সময় টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম ও ক্যামেরাপারসন বাবু চক্রবর্তীকে লাঞ্ছনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও কর্মবিরতি পালন করা হয়েছে। শেরপুর প্রেসক্লাবের আয়োজনে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সামনে কর্মরত সাংবাদিকেরা এ কর্মসূচি পালন করেন। সাংবাদিকের ওপর হামলায় জড়িত থাকা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মো. সেলিম মিঞাকে প্রত্যাহার ও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচি চলাকালে প্রেসক্লাবের সভাপতি কাকন রেজা, কার্যকরী সভাপতি রফিক মজিদ, সাধারণ সম্পাদক মাসুদ হাসান প্রমুখ বক্তব্য দেন। বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন শেষে প্রেসক্লাবের নেতারা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞাকে অপসারণের দাবিতে জেলা সিভিল সার্জন বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন।
স্মারকলিপিতে আগামী তিন দিনের মধ্যে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞাকে শেরপুর জেলা সদর হাসপাতাল থেকে প্রত্যাহার ও তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়। অন্যথায় শেরপুর জেলাসহ ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংবাদিকদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার কথা বলা হয় স্মারকলিপিতে।
সাংবাদিকদের অভিযোগ, ১১ নভেম্বর জেলা সদর হাসপাতালে ওষুধ ক্রয়ে ঠিকাদার নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে যান সময় টেলিভিশনের শেরপুর জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলাম ও ক্যামেরাপারসন বাবু চক্রবর্তী। এ সময় হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞার কাছে চলতি বছরের হাসপাতালের ওষুধ ও মালামাল ক্রয়ের ঠিকাদার নিয়োগের বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য জানতে চান ওই সাংবাদিক। একপর্যায়ে সেলিম মিঞা ওই সাংবাদিককে এ বিষয়ে খবর প্রচার করতে নিষেধ করেন। খবর প্রচার করলে দেখে নেওয়ারও হুমকি দেন তিনি। এ সময় ভিডিও চিত্র ধারণ করতে গেলে তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা চেয়ার থেকে উঠে সময় টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানের কাছ থেকে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন এবং জেলা প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামকে শার্টের কলার ধরে হেনস্তা করে তাঁর কক্ষে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে অন্য সহকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শহিদুলকে উদ্ধার করেন।
সাংবাদিকদের অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক সেলিম মিঞা বলেন, ওই সাংবাদিক তথ্য চাইতে এসে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও অশোভন আচরণ করেন। এ সময় কথা–কাটাকাটির এক পর্যায়ে তাঁর (সাংবাদিক) সঙ্গে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটে। তবে কাউকে লাঞ্ছিত বা হেনস্তা করেননি বলে তিনি দাবি করেন।