পঞ্চগড়ে প্রশাসন সতর্ক অবস্থান নিলে হয়তো নিয়ন্ত্রণ করতে পারত: সংসদ সদস্য মজাহারুল
পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের সালানা জলসা কেন্দ্র করে বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রশাসন সতর্ক অবস্থান নিলে হয়তো কন্ট্রোল (নিয়ন্ত্রণ) করতে পারত বলে মন্তব্য করেছেন পঞ্চগড়-১ (সদর-তেঁতুলিয়া-আটোয়ারী) আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মজাহারুল হক প্রধান।
আজ বুধবার দুপুরে পঞ্চগড় শহরের উপকণ্ঠে আহম্মদনগর এলাকায় আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সংসদ সদস্য মজাহারুল হক প্রধান বলেন, ‘আহমদিয়া সম্প্রদায়ের লোকজনের বাড়িঘরে হামলা, লুটপাট ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি অত্যন্ত জঘন্য ও অমানবিক। এ ঘটনা যাঁরা ঘটিয়েছেন, তাঁরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে লুটতরাজ করার জন্য ঘটিয়েছেন। কোনো মানুষ এমন ঘটনা ঘটাতে পারেন না। এমনকি এ ঘটনা একাত্তরের খান সেনাদের অত্যাচারকেও ছাড়িয়ে গেছে। ইসলামের দৃষ্টিতে এটি জঘন্য কাজ বলে আমি মনে করি।’
প্রশাসনের ভূমিকার বিষয়ে সংসদ সদস্য মজাহারুল হক বলেন, ‘ইচ্ছা করলে হয়তো এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না। কিছুটা হয়তো আমাদের গাফিলতিও থাকতে পারে। সেটা পরিষ্কার বলতে পারব না। কারণ, সেই সময় আমি অসুস্থতার কারণে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় ছিলাম। আমি খোঁজখবর নিয়ে যতটুকু জেনেছি, তাতে মনে হলো, প্রশাসন আরেকটু সতর্ক অবস্থান নিলে কিছুটা হয়তো কন্ট্রোল করতে পারত। কেন করেনি, কীভাবে হয়নি তা আমি বলতে পারব না। যেহেতু আমি ছিলাম না।’
মজাহারুল হক আরও বলেন, ‘আমি পুলিশকে বলেছি, আপনারা কাকে ধরছেন? চুনোপুঁটিদের ধরে আপনাদের লাভ কী? মূল হোতাদের ধরতে হবে। আপনারা মূল হোতাদের ধরছেন না কেন? পুলিশ জানিয়েছে, তারা চেষ্টা করছে। তবে আমি চাই, জনগণের দাবি ও বাস্তব অবস্থার ভিত্তিতে মূল হোতা যাঁরা, তাঁরা আইনের আওতায় আসুক। আইনি প্রক্রিয়ায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
পরিদর্শনকালে আহমদিয়াদের সালানা জলসার আহ্বায়ক আহমদ তবশির চৌধুরী, আহমদিয়া সম্প্রদায়ের মাহমুদ আহমদ, সালাহউদ্দিন আহমদসহ ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলেন সংসদ সদস্য। এ সময় তাঁরা হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের বর্ণনা দেন।
এ সময় পঞ্চগড় পৌরসভার মেয়র জাকিয়া খাতুন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবু তোয়বুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপেন চন্দ্র রায়, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।