ব্রাহ্মণবাড়িয়ার প্রাচীন বিদ্যাপীঠ অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয় চত্বরে শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান চলছে। আজ শনিবার সকালে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে আসা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি দেশপ্রেমিক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অতিথিরা।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ৮৫০ কৃতী শিক্ষার্থী নিবন্ধন করে। আজ সকালে নিবন্ধিত শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠান স্থলে এসে নির্দিষ্ট বুথ থেকে ক্রেস্ট ও নাশতার প্যাকেট সংগ্রহ করে। সকাল পৌনে ১০টায় জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন রবীন্দ্র ভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকোত্তরের ছাত্র নৃত্যশিল্পী জুনায়েদ হোসাইন, আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের শিক্ষার্থী অঙ্কিতা রায়, রিতিমা শর্মা, সামিয়া আক্তার, লাবিবা বোশ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সদস্য হোসাইন ইসলাম।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক শাহাদৎ হোসেন। অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন, স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অসীম ভটনাগর, প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক তারেক মাহমুদ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরকারি কলেজের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. আল আমিন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ ও শাহীন মৃধা, ৪১তম বিসিএসে (পরিবার পরিকল্পনা) সুপারিশপ্রাপ্ত অমিত মোদক। শাহীন মৃধা শিক্ষার্থীদের মাদকবিরোধী শপথবাক্য পাঠ করান। সবাইকে ধন্যবাদ জানান প্রথম আলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সভাপতি তুলি গোস্বামী।
অনুষ্ঠানে গান পরিবেশ করেন আনন্দলোক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা আসিফ ইকবাল খান, বন্ধুসভার সদস্য অনন্যা দাস ও জিপিএ-৫ প্রাপ্ত কৃতী শিক্ষার্থী আনিশা ইসলাম। শিক্ষার্থীদের গানে গানে মাতিয়ে রাখেন শিল্পী বাঁধন মোদক। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক শাজাহান মিয়া, স্বাস্থ্য ও ক্রীড়া সম্পাদক শেখ তানিয়া ও সদস্য সবুজ আহমেদ। পুরো আয়োজনে সহযোগিতা করেছে প্রথম আলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া বন্ধুসভা।
অন্নদা সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফরিদা নাজমীন বলেন, ‘জিপিএ-৫ একটি মানদণ্ড। হতে হবে ভালো মানুষ। ভালো সন্তান ও ভালো নাগরিক। নিজেকে জানতে হবে। নিজেকে জানলেই বিশ্বকে জানতে পারবে। তোমরাই দেশকে গড়ে তলবে। পড়াশোনা পাশাপাশি দেশপ্রেমিক হতে হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে দেশপ্রেমিক হতে হবে বিচ্ছিন্নভাবে নয়।’
এত মেধাবী মুখ এক সঙ্গে খেলার মাঠেও পাওয়া যায় না বলে উল্লেখ করে প্রথম আলোর ক্রীড়া সম্পাদক তারেক মাহমুদ বলেন, ‘সামাজিক নানা ধরনের কাজ করে প্রথম আলো সব শ্রেণির মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পেয়েছে। সংবাদে ও সামাজিক কর্মযজ্ঞে প্রথম আলোর অগ্রযাত্রায় পাঠকই বড় শক্তি। খবরের বাইরেও আমরা অনেক সামাজিক কাজ করছি। এসব অব্যাহত থাকবে।’
অসীম ভটনাগর বলেন, ‘বাংলা সুন্দর ভাষা। আমি অভিভূত, আপনারা যেভাবে নিজেদের সংস্কৃতিকে তুলে ধরেন, এটি অসাধারণ। ভালো ফলাফল করলে বৃত্তি নিয়ে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পথ সহজ হয়ে যায়।’
শাহীন মৃধা বলেন, ‘স্বপ্ন দেখতে হবে। স্বপ্নকে আঁকড়ে ধরতে হবে। কারণ, স্বপ্নহীন জীবন ডানাভাঙা পাখির মতো। জীবনে সফল হতে হলে স্বপ্নের কোনো বিকল্প নেই।’
সারা দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এবারের উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই ‘বিকাশ’। সহযোগিতা করছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।
সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীদের জন্য ছিল ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, প্রথম আলো ই-পেপার (১ মাস) ও চরকির (১৫ দিন) ফ্রি সাবস্ক্রিপশন, শিখোর সৌজন্যে বিনা মূল্যে কোর্স ও ফ্রেশ ব্র্যান্ডের স্ন্যাকস বক্স।