দিনাজপুরে হিন্দুদের ৪০ দোকানপাটে ভাঙচুর–লুটপাট

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ঈশানিয়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজারে গতকাল সোমবার সংখ্যালঘুদের দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়ছবি: সংগৃহীত

দিনাজপুরের বোচাগঞ্জ উপজেলার ঈশানিয়া ইউনিয়নের চৌরঙ্গী বাজারে সংখ্যালঘুদের অন্তত ৪০টি দোকানপাটে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেলে অন্তত ১০০ জন দলবদ্ধ হয়ে বাজারে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালিয়েছেন। পরে বাজারসংলগ্ন সহসপুর গ্রামের দিকে অগ্রসর হলে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তাঁদের বাধা দেন। পরে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দিয়ে তাঁরা চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী সহসপুর গ্রামের বাসিন্দা হৃদয় রায় বলেন, ‘বাজারে ঢুকেই ভাঙচুর শুরু করে হামলাকারীরা। বেছে বেছে আমাদের দোকানগুলো ভাঙচুর করা হয়েছে। হামলাকারীদের হাতে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র ছিল। দোকান ছেড়ে পালিয়েছি। পরে চোখের সামনে মালামালগুলো লুট করে নিয়ে গেছে। গ্রামের দিকে যাচ্ছিল। ওই সময় আমরা পাড়ার সবাই সামনে দাঁড়ালে ওরা চলে যায়।’

এদিকে দিনাজপুর সদর উপজেলায় ফুলতলা শ্মশানঘাট এলাকায় মাঠে নির্মাণাধীন হরিসভা ঘর, দুর্গামন্দির ভাঙচুর করা হয়েছে।

গতকাল বিকেল থেকে ভোররাত পর্যন্ত দিনাজপুরের সব মন্দির ও হরিসভা বাসরে পাহারা বসিয়েছেন সংখ্যালঘুরা। তাঁদের সঙ্গে কয়েকটি জায়গায় মুসলমানরা ছিলেন। রাত থেকে বিভিন্ন মসজিদের মাইকে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন ও ভাঙচুর না করতে প্রচারণা চালানো হয়েছে।

জেলা পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক উত্তম রায় বলেন, জেলায় হিন্দুদের অন্তত ১০-১৫টি বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়েছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। সবাই আতঙ্কে আছেন।

গতকাল বিকেল থেকে দিনাজপুরের বিভিন্ন জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতা–কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের খবর পাওয়া গেছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। বোচাগঞ্জ থানায় অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর করে অন্তত ৫০টি অস্ত্র লুট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন থানার পুলিশের এক সদস্য।