ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে খবর দিতে পারলে ‘প্রাইজ’ দিতে চাইলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

বিজিবির রাজশাহী সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। শনিবার দুপুরেছবি: প্রথম আলো

সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরাতে ভারতের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশের ‘চুক্তি ফলো করা হবে’ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। দুই দিনের সফরে রাজশাহীতে গিয়ে আজ শনিবার দুপুরে বিজিবির রাজশাহী সদর দপ্তর পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পরোয়ানা জারি হয়েছে। ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের চুক্তি রয়েছে। যেহেতু চুক্তি আছে, কাজেই পলাতক আসামিদের ফেরত আনার জন্য চুক্তি ফলো করা হবে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কেন ধরা পড়ছে না জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের বিষয়ে সরকারের কাছে কোনো তথ্য নেই। আপনারাই তো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা করেন। ভাই, আপনাদের আমি একটা অনুরোধ করব, আপনারা এ রকম একটা খবর দিতে পারলে আমি একটা প্রাইজ দেব।’

আগামীকাল রোববার রাজশাহীর সারদা পুলিশ একাডেমির প্যারেড গ্রাউন্ডে ৪০তম বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের শিক্ষানবিশ সহকারী পুলিশ সুপারদের প্রশিক্ষণ সমাপনী কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।

জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, পুলিশ বাহিনীর ১৮৭ জন সদস্য কাজে যোগ দেয়নি। তারা আর পুলিশ বাহিনীর নেই, তারা সন্ত্রাসী। এরপর তাদের অ্যারেস্ট করা হবে। ক্রিমিনালদের জন্য যে আইন, সেই আইন তাদের প্রতি প্রয়োগ করা হবে। তিনি বলেন, ৫ আগস্টের চেয়ে পুলিশের অবস্থার উন্নতি হয়েছে। তারা আস্তে আস্তে ট্রমা কাটিয়ে উঠেছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, এখন মামলায় পাবলিক নাম দিচ্ছেন। যেখানে নিরীহ অনেক লোকের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। এসব মামলার ভয় দেখিয়ে অনেকে টাকা আদায় করছেন। কাজেই গ্রেপ্তারের আগে এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগ আমলে মেধার বাইরে দলীয় বিবেচনায় বিসিএসে নিয়োগপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। এরই মধ্যে তদন্ত হচ্ছে। দু-একজনকে আমরা এরই মধ্যে কাস্টডিতে নিয়ে নিয়েছি।’

এ সময় বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, বিজিবি সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (জিএস শাখা) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সোহরাব হোসেন ভূঁইয়া, রংপুরের আঞ্চলিক কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম জাহিদুর রহমান ও রাজশাহী ব্যাটালিয়নের (১ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মতিউল ইসলাম মণ্ডল উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা পরে র‍্যাব-৫-এর কার্যালয় ও বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিএমডিএ) কার্যালয় পরিদর্শন করেন।