নেত্রকোনা-১ আসন
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা জান্নাতুল ফেরদৌসের
নেত্রকোনা-১ (কলমাকান্দা-দুর্গাপুর) আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে ঝুমা তালুকদার। আসনটিতে যে ২২ জন মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন, তাঁদের মধ্যে তিনি ছিলেন একমাত্র নারী। সম্প্রতি তিনি দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকেও পদত্যাগ করেন। তবে মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
গতকাল রোববার রাত পৌনে ১২টার দিকে জান্নাতুল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের আইডিতে এ ঘোষণা দেন। পরে প্রথম আলোকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। নেত্রকোনা-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন মোশতাক আহমেদ ওরফে রুহী।
ফেসবুক পোস্টে জান্নাতুল ফেরদৌস লেখেন, ‘প্রিয় দুর্গাপুর-কলমাকান্দাবাসী,...আমি আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নেত্রকোনা-১ আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলাম। কিন্তু দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে...স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করতে চাই।...আমি গত পাঁচ বছর দুর্গাপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে সততা এবং নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে দুর্গাপুর-কলমাকান্দাবাসীর সেবা করতে চাই। আমার পিতা সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম জালাল উদ্দিন তালুকদার সাহেবের উত্তরাধিকারী হিসেবে আপনাদের পাশে থেকে সেবা করতে চাই। আপনাদের দোয়া এবং সমর্থন প্রত্যাশী।’
দলীয় নেতা-কর্মীরা বলেন, জান্নাতুল ফেরদৌস নেত্রকোনা-১ আসনের তিনবারের সংসদ সদস্য জালাল উদ্দিন তালুকদারের একমাত্র মেয়ে। তিনি জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সহসম্পাদক। জান্নাতুল দশম ও একাদশ নির্বাচনেও মনোনয়ন চেয়েছিলেন। এ ছাড়া তিনি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন চান। মনোনয়ন না পেয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটের ব্যবধানে জয়ী হন। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি গত ৬ নভেম্বর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, কর্মী-সমর্থকেরা আশায় ছিলেন। তাঁরা বলছেন নির্বাচন করতে। যেহেতু প্রধানমন্ত্রীও বলে দিয়েছেন স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করলে দলের কোনো বাধা নেই। তাই তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি তাঁর বাবার রেখে যাওয়া অসম্পূর্ণ কাজগুলো শেষ করতে চান।