কলারোয়ায় নাশকতা সৃষ্টি চেষ্টার অভিযোগে বিএনপি-জামায়াতের ৮ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

নাশকতা সৃষ্টি চেষ্টার অভিযোগে সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলায় জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির আটজন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার ভোর ৫টার দিকে পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিকরা এলাকার কলারোয়া প্রি-ক্যাডেট স্কুল মাঠ থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জামায়াত-বিএনপির ৮ নেতা-কর্মীসহ ৩৫ জনের নাম উল্লেখ এবং ৮০ থেকে ৯০ জনের বিরুদ্ধে নাশকতা সৃষ্টি চেষ্টার অভিযোগে মামলা করেছেন কলারোয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফরিদ আহমেদ।

ওই মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন উপজেলা জামায়াতের আমির মো. কামরুজ্জামান (৫২), সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক মো. মোকলেছুর রহমান (৪৫), কলারোয়া উপজেলার মদরা গ্রামের জামায়াতকর্মী মো. আবু সাঈদ (৬০), সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও দক্ষিণ ভাদিয়ালি গ্রামের মো. আবু তালেব (৪৪), জালালপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম (৫০), বাউড়কান্দা গ্রামের বিএনপিকর্মী মো. হযরত আলী (৬৫), পৌরসভার তুলসীডাঙ্গা এলাকার আনোয়ার আলী (৪১) ও উত্তর ভাদিয়ালি গ্রামের যুবদলের কর্মী মো. হাবিবুর রহমান (৩৩)।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গতকাল মঙ্গলবার রাতে পুলিশের একটি দল কলারোয়া থানা এলাকায় টহল দিচ্ছিল। একপর্যায়ে শেষ রাতের দিকে দলটিতে থাকা পুলিশের সদস্যরা জানতে পারেন, কলারোয়া পৌর এলাকার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঝিকরা এলাকার কলারোয়া প্রি-ক্যাডেট স্কুলমাঠে জামায়াত-বিএনপির নেতা-কর্মীরা নাশকতার উদ্দেশ্যে হাতবোমা ও দেশি অস্ত্র নিয়ে গোপনে বৈঠক করছেন।

খবর পেয়ে তাঁরা আজ ভোর পাঁচটার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আটজনকে আটক করেন। এ সময় অন্যরা পালিয়ে যায়। ওই আটজন প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানান, সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করতে বিএনপি-জামায়াতের ৮০ থেকে ৯০ জন নেতা-কর্মী বিস্ফোরক দ্রব্য ও দেশি অস্ত্রসহ ওই মাঠে একত্র হয়েছিলেন।

কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় নাশকতা সৃষ্টি চেষ্টার অভিযোগে মামলা হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে তিনটি অবিস্ফোরিত ককটেল, ছয় লিটার পেট্রল ও ১৩টি বাঁশের লাঠি জব্দ করা হয়েছে।