নওগাঁয় খাদ্য পরিদর্শকের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকের মামলা
নওগাঁর পোরশা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের পরিদর্শক অহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলায় অহিদুল ইসলামের মোট ১ কোটি ১৩ লাখ ৬১৭ টাকার সম্পদ উল্লেখ করা হয়। এর মধ্যে ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭ টাকা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ বলা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে দুদক সমন্বিত নওগাঁ জেলা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। দুদকের তদন্তে জানা গেছে, খাদ্য পরিদর্শক অহিদুল ইসলাম অবৈধ উপায়ে ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭ টাকা উপার্জন করেছেন। এ ছাড়া অহিদুল ইসলাম যে সম্পদ বিবরণী দাখিল করেছেন, তা যাচাই-বাছাই করে অসংগতি পাওয়া গেছে। তিনি ৫০ লাখ ৯১ হাজার ৬১৭ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। এ ধরনের কর্মকাণ্ড শাস্তিযোগ্য অপরাধ। জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অপরাধে ১৩ সেপ্টেম্বর দুদক সমন্বিত কার্যালয় নওগাঁ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তানভীর আহমেদ বাদী হয়ে অহিদুলের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
দুদকের তদন্তে জানা গেছে, অহিদুল ইসলাম অবৈধ উপায়ে ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭ টাকা উপার্জন করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুদক পোরশা উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের খাদ্য পরিদর্শক অহিদুল ইসলামের সম্পদের হিসাব বিবরণী তলব করে। অহিদুল তাঁর জ্ঞাত আয় হিসেবে ২৯ লাখ টাকা মূল্যের স্থাবর ও ৩৩ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের অস্থাবর মিলে ৬২ লাখ ৬০ হাজার টাকার সম্পদ রয়েছে বলে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে উল্লেখ করেন। তবে দুদক অনুসন্ধান চালিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে ৩৯ লাখ ১৭ হাজার ৪১০ টাকা স্থাবর ও ৫৮ লাখ ৮৪ হাজার ২০৭ টাকা অস্থাবর সম্পদ মিলিয়ে ৯৮ লাখ ১ হাজার ৬১৭ টাকা মূল্যের সম্পদের সন্ধান পায়। পরবর্তীকালে আরও গভীরভাবে অনুসন্ধান করলে দুদক তাঁর স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে ১ কোটি ১৩ লাখ ৫১ হাজার ৬১৭ টাকার সম্পদের খোঁজ পায়। দুদক সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে অহিদুল ইসলামের ৩০ লাখ ৮৩ হাজার ৯০ টাকা বৈধ আয়ের সন্ধান পায়। এ হিসাব অনুযায়ী জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ ৮২ লাখ ৬৮ হাজার ৫২৭ টাকার সম্পদ অর্জন করে ভোগদখলে রাখা দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪-এর ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
অহিদুল ইসলামের বাড়ি নওগাঁ জেলার মান্দা উপজেলার চকসিদ্ধেশরী গ্রামে। বর্তমানে নওগাঁ শহরের উকিলপাড়া এলাকায় ভিআইপি টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবনে তিনি বসবাস করেন।