বিএনপি করে বলে আগের মামলায় এখন ধরে নেবে, তা হবে না: বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী
নিজ নির্বাচনী এলাকায় বিএনপির কর্মীদের হয়রানি করলে ছেড়ে কথা বলবেন না জানিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। আজ বৃহস্পতিবার টাঙ্গাইলের সখীপুরে নির্বাচনী পথসভায় এ কথা বলেন তিনি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কাদের সিদ্দিকী টাঙ্গাইল-৮ (সখীপুর-বাসাইল) আসনে নিজের দল থেকে গামছা প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন। উপজেলার হাতীবান্ধা ইউনিয়নের তক্তারচালা পাটজাগ এলাকায় বিকেলে এ পথসভায় দেওয়া বক্তব্যে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এ নির্বাচনে বিএনপিকে হ্যারাস করলে ছাড়াছাড়ি নাই। একটা বিএনপিকে যেন এ নির্বাচনে হ্যারাস করা না হয়। যদি হ্যারাস করা হয়, তাহলে খবর আছে। অনেক ক্ষতি হবে। বিএনপি নির্বাচনে আসে নাই। এটা কি তারা অন্যায় করেছে? ইচ্ছা হলে নির্বাচনে অংশ নেবে, ইচ্ছা না হলে নেবে না। বিএনপি ডাকাতি করলে থানায় ধরে নেবে, খুন করলে, মারামারি করলে ধরে নেবে। কিন্তু বিএনপি করে বলে আগের মামলায় এখন ধরে নেবে, তা হবে না। একটা বিএনপি থানায় ধরে নিলে আমি কিন্তু নিজে গিয়ে থানার সামনে দাঁড়াব। এ জন্য সরকারকে বলছি, একটু সাবধান।’
ভোটারদের উদ্দেশে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘আপনারা সবাই ভোটকেন্দ্রে যাবেন। যাকে খুশি তাকে ভোট দেবেন। এবার আমি দেখতে চাই, ভোটাররা ভোট দিতে পারে কি না।’ নারী ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমি মা-বোনদের উদ্দেশে বলব, আপনারা ভোটকেন্দ্রে যাবেন। গামছা মার্কায় ভোট দেবেন। একটা পরিবারে একজন মা যদি আমাকে সমর্থন করে, তাহলে ওই পরিবারে আরও সাতজন আমাকে সমর্থন করবে।’
কাদের সিদ্দিকী ছাড়াও পথসভায় বক্তব্য দেন তাঁর সহধর্মিণী নাসরিন সিদ্দিকী, মেয়ে কুঁড়ি সিদ্দিকী, উপজেলা কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক সানোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় যুব আন্দোলনের সভাপতি হাবিবুন্নবী সোহেল প্রমুখ।
বিএনপির প্রতি কাদের সিদ্দিকীর সহানুভূতি দেখানোর বিষয়ে জানতে চাইলে সখীপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সাজু প্রথম আলোকে বলেন, ‘কাদের সিদ্দিকীর বিএনপির প্রতি এমন মায়াকান্না দেখানোর প্রয়োজন নেই। তিনি বিএনপির সঙ্গে বেইমানি করেছেন। সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে নির্বাচনে এসেছেন। সরকার ও এ নির্বাচনকে বিএনপি বয়কট করেছে।’
টাঙ্গাইল-৮ আসনে কাদের সিদ্দিকীর প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের প্রার্থী অনুপম শাহজাহান জয় (নৌকা প্রতীক)। তা ছাড়া এ আসনে আরও চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হচ্ছেন রেজাউল করিম (জাতীয় পার্টি), পারুল আক্তার (তৃণমূল বিএনপি), আবুল হাশেম (বিকল্পধারা বাংলাদেশ) ও মোস্তফা কামাল (বাংলাদেশ কংগ্রেস)।