রব্বানির হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে, দৃঢ় বিশ্বাস মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যানের
জামালপুরের বকশীগঞ্জের সাংবাদিক গোলাম রব্বানির হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি রব্বানির বাড়িতে গিয়ে শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের এ কথা বলেন।
কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘ঘটনার সময় চেয়ারম্যানের ছেলে কীভাবে মাথায় আঘাত করেছিল, সেগুলো আমরা সবাই জানি। এখন তিনি (চেয়ারম্যানের ছেলে) পালিয়ে আছেন। আমার বিশ্বাস, তিনি পালিয়ে থাকতে পারবেন না। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী রব্বানির পরিবারের পাশেই রয়েছে। ইতিমধ্যে সেই প্রমাণ পাওয়া গেছে।
তাই আমি বিশ্বাস করি, অপরাধীরা সবাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে ধরা পড়বেন। সেটা সময়ের অপেক্ষা।’
গোলাম রব্বানির গ্রামের বাড়ি উপজেলার গোমের চরে। আজ দুপুর ১২টার দিকে সেখানে যান মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন আহমেদ। তিনি রব্বানির শোকাহত পরিবারের সদস্যদের সান্ত্বনা দেন। পরে রব্বানির কবর জিয়ারত করেন। সবশেষ তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্থানীয় প্রশাসনের ভূমিকা সম্পর্কে কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা জানি, স্থানীয় প্রশাসন সবাই মিলেই চেষ্টা করছে। যারা হত্যাকারী ও যারা সহযোগিতাকারী, তারা সাবই ধরা পড়বে। আমি নিজেও দাবি করি, সাংবাদিক গোলাম রব্বানির পরিবারের যে অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে, সেই অধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যা আইনগত প্রক্রিয়া, সেটা সঠিকভাবে পরিচালিত হবে। আর এর মাধ্যমেই যারা অন্যায় করেছে,তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে, এটা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।’
কামাল উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, গোলাম রব্বানির হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হলে পরবর্তী সময়ে কোনো সাংবাদিকের গায়ে হাত তোলার ক্ষেত্রে আক্রমণকারীদের অন্ততপক্ষে ১০ বার ভাবতে হবে।
প্রভাবশালী হলেও সাংবাদিকদের ওপর আক্রমণ করে রেহাই পাওয়া যাবে না—অপরাধীদের এ চিন্তা করতে হবে। এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির মাধ্যমে অপরাধীরা অবশ্যই নিবৃত্ত হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মো. আশরাফুল আলম, পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) কাজী আরফান আশিক, উপপরিচালক সুস্মিত পাইক, জামালপুরের পুলিশ সুপার নাছির উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।