পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে হত্যায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি গ্রেপ্তার

সাবেক ওসি আবুল হাসানছবি: সংগৃহীত

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশ কর্মকর্তার ছেলে ইমাম হাসান (তাইম) হত্যা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ সোমবার দুপুরে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার হ্নীলার নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবির থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তাইম (১৮) রাজারবাগ পুলিশ লাইনসের উপপরিদর্শক ময়নাল হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে ও নারায়ণগঞ্জ সরকারি আদমজীনগর এমডব্লিউ কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ২০ জুলাই রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন তিনি।

এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ১৬ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) নয়াপাড়া ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) জাবেদ আলী। তিনি জানান, ১৫-২০ দিন আগে টেকনাফের নয়াপাড়া ১৬ এপিবিএন পুলিশ ফাঁড়ির অপারেশন অফিসার হিসেবে যোগ দেন আবুল হাসান। সরকারি নির্দেশনার আলোকে আজ দুপুরে তাঁকে টেকনাফ থানা-পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) আবদুল্লাহ আল মামুন জেলার পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসান টেকনাফ থানা-পুলিশের হেফাজতে আছেন। তাঁর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

অন্যদিকে কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জসীম উদ্দিন চৌধুরী জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তাইমকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ওসি আবুল হাসানকে আসামি করা হয়েছে। টেকনাফে অবস্থানের বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর তাঁকে কক্সবাজার জেলা পুলিশের হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। বিষয়টি ঢাকার সংশ্লিষ্ট (যাত্রাবাড়ী) থানায় জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে সেখান থেকে পুলিশের একটি দলকে কক্সবাজার পাঠানো হয়েছে। তাঁরা আবুল হাসানকে ঢাকায় নিয়ে যাবেন।

তাইম হত্যার ঘটনায় গত ২০ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন তাঁর মা মোছা. পারভীন আক্তার। এতে যাত্রাবাড়ী থানার তৎকালীন ওসি আবুল হাসান, ওয়ারী বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন, এডিসি শাকিল মোহাম্মদ শামীম ও এসি তানজিল আহমেদসহ পাঁচ পুলিশ কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ২০ জুলাই দুপুরে বন্ধুর সঙ্গে যাত্রাবাড়ীর কাজলা এলাকায় চা খেতে বের হন তাইম। একপর্যায়ে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি।