মনপুরায় ১০ কেজি হরিণের মাংসসহ এক শিকারি গ্রেপ্তার
ভোলার মনপুরা উপজেলায় হরিণের ১০ কেজি মাংসসহ এক শিকারিকে গ্রেপ্তার করেছে বন বিভাগ। শুক্রবার রাতে উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরপিয়াল সংরক্ষিত বন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার শিকারির নাম মো. ছলেমান মাঝি (২৫)। তিনি মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের রহমানপুর গ্রামের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত সুলতান মাঝির ছেলে। শনিবার সকাল ১০টার দিকে তাঁর বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মনপুরা আদালতে মামলা করে বন বিভাগ।
উপকূলীয় বন বিভাগের মনপুরা রেঞ্জের পচা কোড়ালিয়া বিট কর্মকর্তা মো. আব্বাস উদ্দিন জানান, শুক্রবার রাতে মনপুরা উপজেলার দক্ষিণ সাকুচিয়া ইউনিয়নের বিচ্ছিন্ন চরপিয়াল সংরক্ষিত বন থেকে জবাই করা হরিণের ১০ কেজি মাংসসহ হরিণশিকারি ছলেমানকে আটক করেন পচা কোড়ালিয়া বিটে কর্মরত বনপ্রহরীরা। পরে রাত ১১টার দিকে ওই শিকারিকে মনপুরা রেঞ্জ অফিসে নিয়ে আসা হয়।
পচা কোড়ালিয়া বিট কর্মকর্তা মো. আব্বাস উদ্দিন আরও জানান, শুক্রবার বিকেলে বনপ্রহরী শাহাদাত হোসেন, রাকিব হোসেন ও নাজমুল হোসেনকে নিয়ে তিনি বিচ্ছিন্ন চরপিয়াল সংরক্ষিত বনে টহল দেন। একপর্যায়ে পরে রাতে তাঁরা বনের ভেতরে দেখতে পান, কয়েকজন শিকারি একটি হরিণ জবাই করে নিজেদের মধ্যে মাংস ভাগ–বাঁটোয়ারা শেষ করে চলে যাচ্ছেন। এ সময় শিকারিদের ধাওয়া করে ছলেমান নামের এক শিকারিকে ১০ কেজি হরিণের মাংসসহ আটক করতে সক্ষম হন বনপ্রহরীরা। তবে অন্য শিকারিরা গহিন বনে পালিয়ে যান।
এ ব্যাপারে মনপুরা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মঈনুল ইসলাম জানান, ওই হরিণশিকারির বিরুদ্ধে বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করার পর আদালতের মাধ্যমে তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।