২৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আয়োজন দেখতে ক্লিক করুন
মূল সাইট দেখতে ক্লিক করুন

মতলবে অ্যাসিডে ঝলসে গেছে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ও তাঁর মায়ের শরীর

চাঁদপুর জেলার মানচিত্র

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় দুর্বৃত্তের ছোড়া অ্যাসিডে ঝলসে গেছে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ ও তাঁর মায়ের শরীর। গতকাল রোববার গভীর রাতে উপজেলার সুজাতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

শরীর ঝলসে যাওয়া দুজন হলেন গৃহবধূ মিলি আক্তার (২০) ও তাঁর মা রাশেদা বেগম (৫৫)। দুজন বর্তমানে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন। মিলি আক্তারের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আজ সোমবার সকালে পুলিশ শফিকুল ইসলাম ওরফে মানিক (২৫)  নামে এক তরুণকে আটক করেছে।

পুলিশ, পরিবার ও স্থানীয় সূত্র জানা যায়, বিয়ের আগে থেকেই মিলি আক্তারকে নানাভাবে উত্ত্যক্ত করেছেন শফিকুল ইসলাম। বছরখানেক আগে পাশের গ্রামের প্রবাসী মো. সায়েমের সঙ্গে মিলি আক্তারের পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের পর মিলি শ্বশুরবাড়িতেই থাকেন। মাঝেমধ্যে বাবার বাড়িতে আসেন। কয়েক দিন আগে মিলি সুজাতপুর গ্রামে তাঁর বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন। গতকাল রাতে খাওয়ার শেষে বসতঘরে মা রাশেদা বেগমের সঙ্গে একই খাটে ঘুমিয়ে পড়েন মিলি। গভীর রাতে ঘরের খোলা জানালা দিয়ে ঘুমন্ত মিলি ও তাঁর মা রাশেদার ওপর দুর্বৃত্তরা অ্যাসিড ছুড়ে পালিয়ে যায়।

অ্যাসিডে মিলি ও তাঁর মা রাশেদার শরীরের বিভিন্ন অংশ ঝলসে গেছে। তাঁদের চিৎকার শুনে পরিবারের অন্য সদস্য ও এলাকাবাসী সেখানে আসেন। গুরুতর আহত অবস্থায় স্বজনেরা দুজনকে উদ্ধার করে মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। অবস্থার অবনতি হলে মা ও মেয়েকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়া হয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, মা-মেয়ের ওপর অ্যাসিড নিক্ষেপ করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছেন। মিলি আক্তারের শরীরের প্রায় ৩০ শতাংশ ঝলসে গেছে। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁর মা রাশেদা বেগমের অবস্থাও শঙ্কামুক্ত নয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁদের ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

মতলব উত্তর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শফিকুল ইসলাম নামে এক তরুণকে আটক করা হয়েছে। তাঁকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। স্বীকারোক্তি পাওয়া গেলে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁকে আদালতে পাঠানো হবে। প্রেম বা বিয়ের প্রস্তাবে প্রত্যাখ্যাত হয়েই এ ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে।