জয়পুরহাটে ছাত্র আন্দোলনে আহত আওয়ামী লীগের এক নেতা মারা গেছেন

মৃত্যুপ্রতীকী ছবি

জয়পুরহাটে ছাত্র আন্দোলনের সময় আহত আওয়ামী লীগের নেতা মতিউর রহমান মারা গেছেন। আজ সোমবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থান তিনি মারা যান। জয়পুরহাট থানার কর্মকর্তা (ওসি) হ‌ুমায়ূন কবির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মতিউর রহমান জয়পুরহাট সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ওই ইউনিয়নের জিতারপুর গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় লোকজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অসহযোগ আন্দোলন কর্মসূচি ঘিরে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা শহরের নতুনহাটে এসে জড়ো হন। বেলা ১১টার দিকে তাঁরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বাটার মোড়ে আসেন। সেখানে আগে থেকে জড়ো হয়ে থাকা বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা আন্দোলনকারী ছাত্রদের মিছিলে যোগ দেন। সেখান থেকে তাঁরা মিছিলটি নিয়ে শহরের জিরো পয়েন্ট-পাঁচুর মোড়ে আসেন। এ সময় চিত্রা রোড কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠের সামনে জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে দলটির নেতা-কর্মীরা অবস্থান করছিলেন। পুলিশ ওই সড়কে ব্যারিকেড দেয়। এ সময় উভয় পক্ষ মুখোমুখি অবস্থায় নেওয়ায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। আন্দোলনকারীরা রেলগেট অতিক্রম করে লাইনের ওপর দিয়ে আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে হামলা চালান। তাঁরা দলীয় কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকে সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য সামছুল আলমসহ (দুদু) আওয়ামী লীগের ১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন।

দোগাছী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুল ইসলাম বলেন, ৪ আগস্ট হামলার শিকার হয়ে গুরুতর আহত হন মতিউর রহমান। সেখান থেকে তাঁকে জয়পুরহাট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নেওয়া হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল নয়টার দিকে তিনি মারা গেছেন। তাঁর মরদেহ সন্ধ্যা পৌনে ছয়টা দিকে গ্রামে পৌঁছায়। জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে তাঁর পরিবার।