বরগুনায় কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত, অর্জন ধরে রাখার তাগিদ
বরগুনায় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম আলোর আয়োজনে উৎসবের পৃষ্ঠপোষকতা করেছে শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’।
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বরগুনার ২৫১ জন শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা আজম খান কমার্স কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এখানে অতিথি হয়ে এসেছ, এটাই যেন শেষ না হয়। তোমাদের আরও সামনে এগিয়ে যেতে হবে। তোমাদের এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। একদিন তোমরা আলোকিত মানুষ হবে।’
জ্ঞানকে শাণিত করতে প্রতিনিয়ত বই পড়তে হবে মন্তব্য করে প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, ‘প্রতিভা লালন করতে হয়। প্রতিভা থাকলেই হবে না। প্রতিভা হচ্ছে ছুরির ফলার মতো। ছুরি দিয়ে যদি কাজ না করা হয় তাহলে তাতে মরিচা ধরে। মেধাও তেমনি। মেধাকে শাণ দিতে হয়। আজ তোমরা কলেজে উঠছে। একদিন তোমরা বিসিএস দেবে, কলেজে শিক্ষকতা করবে। এভাবে তোমরাই এ দেশকে আলোকিত করবে।’
সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বরগুনা কলেজিয়েট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহজাহান মিয়া শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘তোমরা শুধু জিপিএ-৫ পেলে চলবে না। একজন ভালো মানুষ হওয়া জন্য তোমাদের লেখাপড়ার প্রতি আগ্রহ ধরে রাখতে হবে। লেখাপড়া করে জিপিএ-৫ পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ নয়, জীবনে গুরুত্বপূর্ণ হলো ভালো মানুষ হওয়া।’
সকাল পৌনে ১০টার দিকে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। বরগুনা বন্ধুসভার উপদেষ্টা তারিক বিন আনসারীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর বরগুনা প্রতিনিধি মোহাম্মদ রফিক। অনুষ্ঠানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের ফাঁকে ফাঁকে কবিতা আবৃত্তি, গান ও নৃত্য পরিবেশন করা হয়। সহপাঠীদের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা একে অপরের ছবি তোলেন।
বরগুনা সরকারি মহিলা কলেজের সহকারী অধ্যাপক খালেদা জান্নাতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘শিক্ষার্থীর দেশের সব অন্যায়-অনিয়ম দূর করতে পারে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলনের মাধ্যমে অধিকার আদায় করেছে। ঠিক তেমন করে তোমরা লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হলে আলোকিত মানুষ হতে পারবে। তোমাদের আজকের এই অর্জনের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।’
‘স্বপ্ন দেখো জীবন গড়ো’ স্লোগান নিয়ে দেশের ৬৪টি জেলায় জিপিএ-৫ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। এবারের উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই বিকাশ। সহযোগিতায় কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, বহুব্রীহি, সানকুইক, কনকা গ্রি, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেড, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।