উখিয়ায় আশ্রয়শিবিরে গোলাগুলি, আরসার দুই সন্ত্রাসীসহ চারজন গ্রেপ্তার
কক্সবাজারের উখিয়ায় আশ্রয়শিবিরে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসার) সঙ্গে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কুতুপালং (ক্যাম্প-৫) আশ্রয়শিবিরে এ ঘটনা ঘটে।
গোলাগুলির ঘটনার পর আরসা সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালায় এপিবিএন। আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে ক্যাম্প-৫-এর ডব্লিউ ব্লকে অভিযান চালিয়ে আরসার দুজন সন্ত্রাসী এবং সহযোগী দুই রোহিঙ্গা নারীকে অস্ত্র, গুলিসহ গ্রেপ্তার করে এপিবিএন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন কুতুপালং আশ্রয়শিবিরের (ক্যাম্প-৫) ডব্লিউ ব্লকের বাসিন্দা মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে মো. জোবায়ের (২০), ডি-৮ ব্লকের কামাল হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৫), একই ব্লকের জুবাইর আহমদের মেয়ে মুছা বিবি ও সালেহ আহমদের স্ত্রী জামিলা বেগম (৪৮)। এপিবিএন জানায়, ওই চারজনকে গ্রেপ্তারের সময় ঘটনাস্থল থেকে চারটি ওয়ান শুটারগান, চায়না রাইফেলের ৩০টি গুলি, ২৭টি পিস্তলের গুলি, চারটি ওয়াকিটকিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে।
আশ্রয়শিবিরে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক ও পুলিশের অতিরিক্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) সৈয়দ হারুন অর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার চার রোহিঙ্গার মধ্যে দুজন আরসার সন্ত্রাসী। অন্য দুজন তাঁদের সহযোগী। অস্ত্র, গুলিসহ হাতেনাতে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চারজনকে বিকেলে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করে মামলা করা হয়েছে।
এপিবিএন ও রোহিঙ্গা নেতারা জানান, গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে আরসার ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী কুতুপালং (ক্যাম্প-৭) আশ্রয়শিবিরের একটি আস্তানায় জড়ো হয়ে কয়েকজন রোহিঙ্গা মাঝিকে অপহরণের চেষ্টা চালান। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে ঘটনাস্থলে যায় এপিবিএনের একটি দল। আরসা সন্ত্রাসীরা তখন এপিবিএনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়লে আত্মরক্ষায় এপিবিএনও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয় পক্ষে ঘণ্টাব্যাপী গোলাগুলির একপর্যায়ে আরসার এক কমান্ডার গুলিবিদ্ধ হন। তখন পাশের ক্যাম্প-৫-এর ডব্লিউ ব্লকে তাঁরা আত্মগোপন করেন।
১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক সৈয়দ হারুন অর রশীদ বলেন, রাতভর সন্ত্রাসীদের নজরে রাখার পর সকাল সাতটার দিকে এপিবিএন সদস্যরা ক্যাম্প-৫-এর ভেতরে অভিযান চালায়। এ সময় অস্ত্রসহ হাতেনাতে ওই চারজনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে এপিবিএনের অভিযান অব্যাহত আছে।