কাহারোলে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের পর সার পেলেন কৃষকেরা
দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলায় সার না পেয়ে দেড় শতাধিক কৃষক প্রায় ঘণ্টাব্যাপী সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। শুক্রবার দুপুরে উপজেলার কাহারোল সেতুর ওপর এ বিক্ষোভ করেন তাঁরা।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মনিরুল হাসান সার দেওয়ার আশ্বাস দিলে অবরোধ তুলে নেন কৃষকেরা। পরে আজ বিকেলে ইউএনওর উপস্থিতিতে ১০৩ জন কৃষককে ৫০ কেজি করে সার বিতরণ করা হয়।
বিক্ষোভকালে কৃষকেরা অভিযোগ করেন, ডিলারের ঘরে সার আছে। কিন্তু পছন্দমতো লোকদের সার সরবরাহ করছেন তাঁরা। অনেক ক্ষেত্রে দামও রাখছেন বেশি। এ ছাড়া গোপনে খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে সার বিক্রি করে দিচ্ছেন ডিলাররা। ফলে সরকার নির্ধারিত ৭৫০ টাকা বস্তার সার কিনতে হচ্ছে দ্বিগুণ দামে।
জমিতে সার ছিটানোর সময় চলায় তাঁরা বাধ্য হয়ে বেশি দামে সার কিনছেন। চাহিদার তুলনায় বরাদ্দও কম। সার না পেয়ে আমনের আবাদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তাঁরা।
উপজেলার মুকুন্দপুর পানিশাইল গ্রামের কৃষক জাকিরুল ইসলাম বলেন, এবার চার বিঘা জমিতে আমনের আবাদ করেছেন তিনি। জমিতে অন্যান্য সার দিতে পারলেও এমওপি সারের জন্য পাঁচ দিন ধরে ডিলারের কাছে ঘুরেছেন।
তবে ডিলারদের ভাষ্য, সারের বরাদ্দ কম হলে তাঁদের করার কিছু থাকে না। কাহারোল বাজারের প্রমীলা ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী বিএডিসির ডিলার পুলিন চন্দ্র বলেন, গত বছর এই সময়ে সার উত্তোলন করেছিলেন ৬০০ বস্তা। এবার সেখানে পেয়েছেন মাত্র ২৬০ বস্তা।
কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এবার আমনের আবাদ হয়েছে ১৫ হাজার ৩০ হেক্টর জমিতে। উপজেলায় বিএডিসির ১৭ জন এবং বিসিআইসির ১০ জন সারের ডিলার রয়েছে।
চলতি মাসে উপজেলায় এমওপি সারের চাহিদা দেওয়া হয়েছে ৫৫০ মেট্রিক টন। চাহিদার বিপরীতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বরাদ্দ পেয়েছেন ১৪৩ মেট্রিক টন, যা চাহিদার মাত্র ২৬ শতাংশ।
সার–সংকটের কথা স্বীকার করে ইউএনও মনিরুল হাসান বলেন, ‘যতটুকু বরাদ্দ পেয়েছি, কৃষকের কাছে ততটুকুই পৌঁছানোর চেষ্টা করছি।’