চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম আদালতে ব্যবসায়ীর মামলার আবেদন
সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৬৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করা হয়েছে চট্টগ্রাম আদালতে। আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু বক্কর সিদ্দিকের আদালতে মামলার আবেদন করেন এনামুল হক নামের এক ব্যবসায়ী।
মামলার আবেদনে বাদী উল্লেখ করেন, গত ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে অবস্থিত জেলা নিবন্ধন কার্যালয়ে বাদী জমি নিবন্ধনের জন্য আসেন। ওই দিন বিকেলে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের অনুসারীরা তাঁকে মারধর করেন। ওই সময় আদালত প্রাঙ্গণে থাকা বিভিন্ন গাড়িও ভাঙচুর করেন তাঁরা। মারধরে তাঁর হাত ভেঙে যায়। শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম হয়। গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। অসুস্থ থাকায় এত দিন মামলা করতে পারেননি।
বাদীর আইনজীবী ইরফানুল হক আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৬৪ জনকে আসামি করে এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের ৫০০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
ইরফানুল হক আরও বলেন, আসামিদের ঘটনাস্থলের সিসিটিভির ফুটেজ দেখে শনাক্ত করে আসামি করা হয়েছে। আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করেছেন, তবে কোনো আদেশ দেননি। পরবর্তী সময়ে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬ মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪০ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। গত সোমবার পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির জন্য ওকালতনামা দিলে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি নেজাম উদ্দিন।
ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সংগ্রহ করা ৫২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে তদন্ত–সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, ধারালো অস্ত্র দিয়ে আইনজীবী সাইফুলকে কোপান ওম দাশ, চন্দন ও রনব, আর তাঁকে পেটাতে থাকেন অন্যরা। সেখানে আরও ২৫ থেকে ৩০ জন ছিলেন। তাঁদের বেশির ভাগই পরিচ্ছন্নতাকর্মী।