সন্ধ্যায় বের হয়ে পরদিন সকালে মিলল লাশ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে আমবাগান থেকে ব্যাটারিচালিত এক ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে উপজেলার লোহারবন্দর এলাকার পশ্চিমপাড়ার একটি আমবাগান থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়। কিন্তু তাঁর ভ্যানটি পাওয়া যায়নি।
ওই ভ্যানচালকের নাম ভরত চন্দ্র দাস (৫৫)। তিনি উপজেলার ১ নম্বর বুলাকিপুর ইউনিয়নের কালুপাড়া পিটানীগাছা এলাকার মৃত কালীদাস চন্দ্রের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে এলাকায় ভ্যান চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।
নিহত ভরতের পরিবার ও স্থানীয় লোকজনের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল সোমবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে ভরত চন্দ্র তাঁর নিজের ভ্যানে ভাগিনা সুকুমার চন্দ্র ও সুকুমারের ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় রানীগঞ্জ বাজারে যান। পরে সেখানে ভাগিনাকে ভ্যান থেকে নামিয়ে দেন এবং ওই বাজার থেকে তিনজন অপরিচিত যাত্রীকে ভ্যানে তুলে নিয়ে বলগাড়ি বাজারের উদ্দেশে রওনা হন। বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ওই তিন যাত্রীসহ তাঁর নিজের বাড়িতে গিয়ে নাতিকে ভ্যান থেকে নামিয়ে দেন। পরে ভরত চন্দ্র আবার ওই তিন যাত্রীকে ভ্যানে নিয়ে বলগাড়ি বাজারের উদ্দেশে রওনা দেন। রাতে তিনি আর বাড়িতে ফেরেননি। পরে পরিবারের লোকজন আশপাশের বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর কোনো সন্ধান পাননি।
আজ সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে পাশের গ্রাম বলগাড়ি লোহারবন্দর এলাকার কায়ছারুল ইসলাম (৩৫) নামের এক কৃষক জমিতে কাজ করতে গিয়ে একই এলাকার আবদুল মালেকের বাড়ির উত্তর পাশের একটি আমবাগানে ভ্যানচালক ভরত চন্দ্রের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজমুল হক প্রথম আলোকে বলেন, আজ সকালে তিনি লোহারবন্দর এলাকার একটি আমবাগানে স্থানীয় এক ভ্যানচালকের মরদেহ পড়ে থাকার খবর পান। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহের গলায় ডান পাশে একটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুর্বৃত্তরা ভরত চন্দ্রকে গামছা বা সুতি কোনো কাপড় দিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেছে এবং পরে তাঁর সঙ্গে থাকা ব্যাটারিচালিত ভ্যানটি ছিনতাই করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ তদন্ত করছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।