বেগমগঞ্জ উপজেলা কমিটির সভাপতিসহ বিএনপির ১১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চৌমুহনীমুখী বিভিন্ন যানবাহনে তল্লাশি করে পুলিশ। গত বুধবার সকালে চৌমুহনী পশ্চিম বাজারে
প্রথম আলো ফাইল ছবি

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির সভাপতিসহ ১১১ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। বেগমগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাহবুব হোসেন বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার এ মামলা করেন।

মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাশকে ১৩ নম্বর ও চৌমুহনী পৌরসভা বিএনপির সভাপতি মহসিন আলমকে ১২ নম্বর এজাহারভুক্ত আসামিসহ ২১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। আর ৯০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ মামলার আসামি বিএনপির ১২ কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার কর্মীরা হলেন ইব্রাহিম খলিল (২২), হোসনে মোবারক ওরফে রনি (৩১), মো. আজিম (৪২), মো. সৌরভ (১৯), শামীম ওসমান (২১), আবদুল হক (২০), ইসমাইল হোসেন (৪৫), ফরহাদ হোসেন (১৯), ইউনুছ মিয়া ওরফে বিজয় (১৯), ইয়ামিম হোসেন ওরফে প্রান্ত (১৯), যোবায়ের হোসেন (১৯), মো. মহসিন আলম (৫২)।

বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, মামলায় পুলিশের ওপর হামলা, সরকারি কাজে বাধা এবং ধারালো দেশি অস্ত্র নিয়ে জনমনে ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়েছে। ১২ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার বিকেল পাঁচটার দিকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা বেগমগঞ্জের একলাশপুর বাজারে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। এ সময় মিছিলে বাধা দেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এতে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ দুই পক্ষকে ধাওয়া করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

উপজেলা বিএনপির সভাপতি কামাক্ষ্যা চন্দ্র দাশ প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির শান্তিপূর্ণ মিছিলে হামলা করেছেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা। এতে বিএনপির কয়েকজন কর্মী আহত হন। কিন্তু পুলিশ রাজনৈতিকভাবে হয়রানি করার জন্য সাজানো মামলায় তাঁকেসহ দলীয় নেতা-কর্মীদের আসামি করেছে, যা খুবই দুঃখজনক। শুধু তা–ই নয়, পুলিশ ঘটনাস্থল ও এর আশপাশ থেকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ১২ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার সব নেতা-কর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করছেন তিনি।