নেত্রকোনায় গৃহবধূর শরীরে দাহ্য পদার্থ ছোড়ার অভিযোগ, স্বামী পলাতক

নারী নির্যাতনপ্রতীকী ছবি

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় এক গৃহবধূর শরীরে দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। এতে তাঁর মুখমণ্ডল ও ঘাড়ের কিছু অংশ ফুলে লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ওই গৃহবধূর নাম হাফসা আক্তার। তিনি বর্তমানে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁর স্বামীর নাম হুমায়ুন কবির।

পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, ১৭ বছর আগে একই উপজেলার ব্রাহ্মণজাত গ্রামের হাফসার সঙ্গে মাসকা গ্রামের হুমায়ুনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর তাঁদের সন্তান না হওয়াকে কেন্দ্র করে দাম্পত্য জীবনে কলহ শুরু হয়। বিভিন্ন সময় হুমায়ুন স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ আছে।

এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিসও হয়। এসব কারণে গত কোরবানি ঈদের পরদিন স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়িতে চলে যান হাফসা। পরে গত বৃহস্পতিবার হুমায়ুনকে তালাক দেন হাফসা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মুঠোফোনে তাঁকে অ্যাসিড নিক্ষেপসহ মেরে ফেলার হুমকি দেন হুমায়ুন।

ঘটনার প্রসঙ্গে হাফসা আক্তার বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি ঘরে বসে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় হুমায়ুন হঠাৎ এসে একটি সিরিঞ্জে করে তাঁকে ‘অ্যাসিড’ ছুড়ে মারেন।

ঘটনার প্রসঙ্গে হাফসা আক্তার বলেন, গতকাল শুক্রবার রাত পৌনে ৯টার দিকে তিনি ঘরে বসে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। এ সময় হুমায়ুন হঠাৎ এসে একটি সিরিঞ্জে করে তাঁকে ‘অ্যাসিড’ ছুড়ে মারেন।

কেন্দুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক এ এস এম শরিফুজ্জামান জানান, প্রাথমিকভাবে মনে হচ্ছে, অ্যাসিড নয় ওই নারীর গলায় ও গালে দাহ্য কোনো পদার্থ নিক্ষেপ করা হয়েছে। এতে কিছু অংশ ফুলে লালচে বর্ণ ধারণ করেছে। তাঁকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে হুমায়ুনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, ওই ঘটনার পর থেকে পলাতক আছেন তিনি। এ ঘটনায় আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো মামলা বা লিখিত অভিযোগ করা হয়নি। তবে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে হাফসার পরিবার।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ এনামুল হক বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে যায় পুলিশ। অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরকে আটকের চেষ্টা চলছে।