কুড়িগ্রামে আ.লীগ নেতাকে হত্যা মামলায় ২ ছাত্রলীগ নেতার ৩ দিনের রিমান্ড
কুড়িগ্রামে আওয়ামী লীগ নেতা শরিফুল ইসলামকে (৪৪) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দুই ছাত্রলীগ নেতাকে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আজ শনিবার বিকেলে কুড়িগ্রাম সদর আমলি আদালতে শুনানি শেষে বিচারক মজনু মিয়া এ আদেশ দেন।
রিমান্ডে নেওয়া দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভি কবির চৌধুরী ওরফে বিন্দু ও কুড়িগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাত্রলীগের সভাপতি ঝিনুক মিয়া। তাঁদের বিরুদ্ধে পাঁচ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছিল পুলিশ। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুদুর রহমান বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা সদরের খলিলগঞ্জ বাজার এলাকায় মোটরসাইকেলকে সাইড দেওয়াকে কেন্দ্র করে পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সদস্য শরিফুল ইসলামকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ ওঠে ছাত্রলীগ নেতা রেজভি ও তাঁর অনুসারীদের বিরুদ্ধে। নিহত শরিফুল শহরের ঘোষপাড়ার আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। আজ বিকেলে কুড়িগ্রাম কেন্দ্রীয় কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়েছে।
ঘটনার পর রাতেই ছাত্রলীগের ওই দুই নেতাকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রী রোজিনা বেগম বাদী হয়ে রাতেই সদর থানায় চারজনের নাম উল্লেখসহ সাত থেকে আটজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় আটক দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। অন্য দুই আসামি হলেন রায়হান কবির ও সৌরভ। দুজনই কুড়িগ্রাম সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের কর্মী। ঘটনার পর রাতেই এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ছাত্রলীগ নেতা রেজভিকে স্থায়ী বহিষ্কার করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং আজ বিকেলে পৃথক এক বিজ্ঞপ্তিতে ঝিনুক মিয়াকে বহিষ্কার করা হয়।
সদর থানার ওসি মাসুদুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহত ব্যক্তির স্ত্রীর করা মামলায় দুই নেতাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল পুলিশ। আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন। মামলার অন্য দুই আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।