কালকিনিতে নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কের বাড়িতে হামলা, আহত ৫

অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনা বেগমের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সোহেল রানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘হামলার ঘটনা সত্য নয়। ওই হামলায় আমাদের কোনো কর্মী-সমর্থক ছিলেন না। তাঁরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চাচ্ছেন।’

পুলিশ, ভুক্তভোগী ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ প্রার্থীর একটি সভায় যোগ দিতে আজ সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন সরদার মো. লোকমান হোসেন। কিছুক্ষণ পরই তাঁর বাড়িতে প্রবেশ করেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থক এমদাদুল সরদারসহ ৮ থেকে ১০ জন কর্মী। এ সময় লোকমানের স্ত্রী শারমীন জাহানসহ পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাঁরা হামলা করেন। এতে তিন নারীসহ আহত হয়েছেন ৫ জন। আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

সরদার মো. লোকমান হোসেন অভিযোগ করেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী তাহমিনার নির্দেশে আমার বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালানো হয়েছে। এতে আমার স্ত্রীসহ পরিবারের সব সদস্যকে মারধর করা হয়। এই হামলার নেতৃত্ব দেন এমদাদুল সরদার, তাহেল সরদার, জহির সরদার। তাঁদের সঙ্গে আরও অনেকেই আসছিল। আমি এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।’

হামলায় আহত শারমীন জাহান বলেন, ‘হামলাকারীরা প্রথমে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন। তাঁদের বাধা দিতে গেলে আমাদের বাড়িতে থাকা সবাইকে মারধর করেন। নারীদের লাঞ্ছিত করেন। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।’

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সরকার আবদুল্লাহ আল মামুন প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ওখানে (লোকমান হোসেনের বাড়িতে) হামলা সেভাবে হয়নি, হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে। তবে গুরুতর কেউ আহত হননি। এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে।

মাদারীপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবদুস সোবহান গোলাপ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও বর্তমান সংসদ সদস্য। তাঁর শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী তাহমিনা বেগম সংরক্ষিত নারী আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও কালকিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তাহমিনা বেগম। এর আগেও এই দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে একাধিক সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।