বন্ধ ইটভাটা যাতে চালু হতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, ‘ইটভাটা নিয়ে আমাদের ১০০ দিনের একটি কর্মসূচি আছে। আমরা প্রাথমিকভাবে ৫০০টি ইটভাটা বন্ধ করে দেব। এগুলো শুধু বন্ধ নয়, যাতে পরবর্তী সময়ে আর চালু না হতে পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা হচ্ছে, আমরা ব্যবস্থা নিই, ভাটা বন্ধ করি। কিন্তু পরে আবার চালুও করা হয়।’
শনিবার সকালে এক ব্যক্তিগত সফরে ফেনী আসেন মন্ত্রী। পরে সার্কিট হাউসে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বন বিভাগের পরিচালক (ভূমি পরিমাপ) আনিস মাহমুদ, জেলা প্রশাসক মুছাম্মৎ শাহীনা আক্তার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীন মোহাম্মদ, সামাজিক বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন, পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শওকত আরাসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী এ সময় বলেন, ‘কয়টা ইটভাটা আছে, আমরা কয়টা অভিযান পরিচালনা করলাম, এখন আমরা এই আলোচনায় থাকতে চাই না। আমরা চাইব, সবগুলো ভাটা বন্ধ হয়ে যাক। সবাই আধুনিক পদ্ধতিতে ব্লক তৈরি শুরু করুক। ব্লকের দুটি সুবিধা আছে। একটা হচ্ছে এখানে কোনো কৃষি মাটির ব্যবহার হবে না; আরেকটা হচ্ছে ব্লক তৈরিতে কোনো বায়ুদূষণ হয় না।’
সাবের হোসেন চৌধুরী আরও বলেন, ফেনীর ইটভাটাগুলো নিয়ে তিনি যতটুকু জানেন তা হলো যখন ভাটাগুলো স্থাপন করা হয়, তখন আশপাশে বসতি ছিল না। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছিল না। এখন হয়ে গেছে। এসব কারণে ইটভাটাগুলোর লাইসেন্স নবায়ন করা হচ্ছে না। এমতাবস্থায় তাঁরা ব্লকের প্যাকেজের দিকে যাচ্ছেন। এখানে যাঁরা ভাটার মালিক রয়েছেন, তাঁরা সরকার থেকে প্যাকেজ নিয়ে ব্লকের দিকে যাবেন।
নদী দখল ও দূষণের বিষয়ে অপর প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, সরকার জলাধার রক্ষায় ডিজিটাল ম্যাপিং করছে। এর মাধ্যমে সবগুলো নদী, জমি, খাল ও জলাধার সম্পর্কে সুনিশ্চিত তথ্য জানা যাবে। এরপর এর তদারকও ভালোভাবে করা যাবে। দূষণের বিষয়ে তাঁরা কাজ করছেন। কোন স্থানে কী পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হয়; পৌরসভার সক্ষমতা কী—এসব বিবেচনা করে তাঁরা ‘বর্জ্য রিসাইকিলিংয়ের’ ব্যবস্থাপনা করে যাচ্ছেন।